এশিয়ার পরিচিত কন্ডিশনে বিশ্বকাপ, সাম্প্রতিক ফর্মও আশা জাগানিয়া – তাই তো ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে পাকিস্তানকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখেছিল ভক্ত-সমর্থকেরা। নামি-দামি ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও তাঁদের ফেভারিটের তালিকার রেখেছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্ব শেষেই বিদায় নিতে হয়েছে বাবর আজমদের।
এই ব্যর্থতার পিছনে বড় দায় দলটির স্পিন বিভাগের। শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজরা হতাশ করেছেন পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে। এরই সূত্র ধরে মিসবাহ উল হক জানান বিশ্বকাপের আগে স্পিনারদের নিয়ে সতর্কবাণী দিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্ট তাঁর কথাকে এড়িয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্পিন বোলিং একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল। স্পিনাররা কেউই ফর্মে ছিল না, আপনাকে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এশিয়া কাপেও নওয়াজ, শাদাবরা ভাল করতে পারেনি। সেটা দেখার পর যখন আপনি বিশ্বকাপের মত আসরে খেলতে যাচ্ছেন তখন উচিত ছিল একজন বাড়তি স্পিনার স্কোয়াডে যুক্ত করা।’
সাবেক এই অধিনায়ক ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে স্পিন বোলিংয়ের ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করছিলেন। বিশেষ করে উপমহাদেশীয় পিচে খেলা হওয়ায় পরামর্শ দিয়েছিলেন, স্পিন বিভাগকে আরো শক্তিশালী করা উচিত। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি, যা হতাশ করেছে এই কিংবদন্তি ব্যাটারকে।
দলের নেতৃত্বে থাকা কর্তারা তাঁর পরামর্শকে উপেক্ষা করেছে এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ম্যানেজমেন্টের ভাবনা ছিল যে আমরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটা দলকে বহন করেছি, গুছিয়ে নিয়েছি; এখন পরিবর্তন করা ভাল হবে না। এই ম্যানেজমেন্টে অধিনায়ক, কোচ, টিম ডিরেক্টর সবাই অন্তর্ভুক্ত ছিল।’
এই বিশ্বকাপে নয় ম্যাচ খেলে চারটিতে জিততে পেরেছিল পাকিস্তান। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার মূল কৃতিত্ব পাবেন ব্যাটাররা; অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস আক্রমণ জ্বলে উঠেছিল, বাকি একটা জয় এসেছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে – কিন্তু এই চার ম্যাচের কোনটিতেই স্পিনাররা বলার মত পারফর্ম করতে পারেননি।