আবারও বাবরের অধিনায়কত্ব উঠেছে কাঠগড়ায়

ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে দলের নেতৃত্বহীনতাকেই সামনে নিয়ে আসছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।  

বিশ্বকাপ শেষ, পাকিস্তান শিবিরে এখন চলছে ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণ। ঠিক কোন কারণে গতবারের ফাইনাল খেলা দল এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়লো। ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে দলের নেতৃত্বহীনতাকেই সামনে নিয়ে আসছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্বের উপর বেশ জোর দেন আফ্রিদি। বিশেষ করে পাকিস্তানের দলপতি বাবর আজমের মলিন প্রভাবের কথা বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সাবেক এই অলরাউন্ডার উদাহরণ হিসেবে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার কথা বলেন। রোহিতের নেতৃতেই ভারত তাঁদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা ঘরে তোলে।

পাকিস্তানের নেতৃত্ব নিয়ে শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘দেখুন, অধিনায়কের চরিত্রটি সবসময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শারীরিক ভঙ্গিতেই দলের সার্বিক দিক ফুটে ওঠে। রোহিত শর্মার কথাই ধরুণ, তাঁর খেলার ধরণ দেখুন। তাঁর দলের লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে সাহস পায়, কেননা দলের অধিনায়কই আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করেন। তাই, আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি যে দলে অধিনায়কের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রতি তাঁর ভালবাসার থাকার ফলেই তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজাতে বলেন শহীদ আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই পাকিস্তানের জন্য আছি। তবে সেটা তৃণমূল ক্রিকেটের জন্য। জাতীয় দলে আমার কোনো প্রয়োজন নেই।’

দলের পারফর্ম্যান্স নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে যদি পারফর্ম্যান্স ভাল থাকতো, তবে এই প্রশ্ন আপনি জিজ্ঞেস করতেন না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান ইতিমধ্যেই দলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলেছেন। আমি-আপনি সবাই সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। ব্যর্থতার মূল কারণ তৃণমূল ক্রিকেটে লুকিয়ে আছে। আমাদের তৃণমূল নিয়ে কাজ করলে ভাল মানের খেলোয়াড়ের আবির্ভাব ঘটবে।’

এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে, প্রয়োজন শুধু একটু দেখাশোনার। আমাদের এমন এক কোচ দরকার যিনি তাঁদের মানসিকতা পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। খেলোয়াড়েরা কেন জাতীয় দলে গিয়ে শিখবে? এসব তাঁদেরকে অনূর্ধ্ব-১৯ থেকেই শিখে আসতে হবে।’

তাছাড়া দলের গঠণতন্ত্র নিয়েও কথা বলেন সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি বলন, ‘একটা কার্যকরী বোর্ড প্রয়োজন। আমি বলবো না প্রধান নির্বাহীর জায়গায় প্রধাণমন্ত্রীকে বসাতে হবে। তবে চেয়ারম্যানকে দলের সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তবে তিনি কখনোই অধিনায়ক নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবেন না। সেটা নির্বাচন কমিটির কাজ।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...