ব্যাঙ্গালুরুর চার বোলারের হাফ সেঞ্চুরি

এক ইনিংসে চারজন পঞ্চাশোর্ধ রান খরচ করার কীর্তি গড়েছে ব্যাঙ্গালুরু, যা কি না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম। 

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গলুরুর বোলারদের নিয়ে হাস্যরস করার অভ্যাস বহু পুরোনো। বছরের পর বছর গড়পড়তা বোলিং লাইনআপের কারণে ব্যর্থ হতে হয় তাঁদের।

তবে, এবার সব সীমনা ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েছে দলটির বোলাররা, রান খরচের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে তাঁদের মাধ্যমে। এক ইনিংসে চারজন পঞ্চাশোর্ধ রান খরচ করার কীর্তি গড়েছে ব্যাঙ্গালুরু, যা কি না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে রীতিমতো তাণ্ডবের মুখোমুখি হয়েছিল ফাফ ডু প্লেসিসের দল। ট্রাভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেন ঝড় তুলেছেন বাইশ গজে; সেই ঝড়ে তুলোর মত উড়ে দিয়েছেন রিচ টপলি, লকি ফার্গুসনের লাইনআপ।

ইংলিশ পেসার টপলি চার ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন ৬৮ রান। হায়দ্রাবাদ উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন এই পেসারই; প্রথম ওভারেই খরচ করেছিলেন ২০ রান।

দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য খানিকটা ভাল করেছিলেন তিনি, ১১ রান খরচায় এক উইকেট শিকার করেছেন। ইংলিশ তারকার পরের ওভারটাও ঠিকঠাক শেষ হয়েছিল, তবে ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে আবার ২৫ রান দিয়ে বসেন তিনি।

ষাটের গণ্ডি পেরনো আরেকজন বিজয়কুমার ভাইশাখ। তাঁর চার ওভার থেকে ৬৪ রান আদায় করেছেন হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা, যদিও বিনিময়ে কোন উইকেট শিকার করতে পারেননি তিনি। মাত্র নয় ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে তাঁকে এমন দিন আগে দেখতে হয়নি।

লজ্জার মাইলফলক স্পর্শ করা বাকি দু’জন হলেন লকি ফার্গুসন আর ইয়াশ দয়াল। কিউই পেসার দুই উইকেট তুলে নিলেও উদার হস্তে রান বিলিয়েছেন পুরো ইনিংস জুড়ে। সবমিলিয়ে ৫২ রান এসেছে তাঁর চার ওভার থেকে।

অন্যদিকে ইয়াশ এক রান কম খরচ করেছেন, যদিও তাঁর আবার উইকেটের খাতা খোলা হয়নি। আইপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড, সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড সবই হয়েছে হায়দ্রাবাদ বনাম ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচে। ব্যাটারদের এমন স্বর্গীয় দিনে বোলাররা যে বেধড়ক পিটুনি খাবেন সেটা নিশ্চিত হয়ে বলাই যায়।

তবু দয়াল, টপলিদের কীর্তি বিশেষ ভাবে মনে রাখতেই হচ্ছে; কেননা চারজন বোলারের একসঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করার ঘটনা তো এবারই প্রথম ঘটলো।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...