Social Media

Light
Dark

দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটাই এখন অনিশ্চিত বাংলাদেশের!

সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে। তবুও মনের গহীন কোণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভাল করবে এমন এক আশার কুটির রয়েছে বটে। গ্রুপ ডি থেকে টাইগারদের ভাল করবার সুযোগ যে একেবারেই নেই তাও নয়। কিন্তু পথটা কঠিন। বেজায় কঠিনও বলা চলে।

ads

ডি গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। পাঁচ দলের এই গ্রুপে এই সময়ে সবচেয়ে বিপাকে সম্ভবত বাংলাদেশই। শক্তিমত্তার বিচারে অবশ্য শ্রীলঙ্কার সমকক্ষই বলা চলে। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে শ্রীলঙ্কার সাথে দাপটের স্মৃতি নেই। তবে লড়াইটা জমে বেশ।

এই দুই দলের মাঠের লড়াই ছাপিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ প্রবল আকার ধারণ করে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথে এই শ্রীলঙ্কাই হতে পারে বাংলাদেশের বাঁধা। তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা কঠিন হবে। তাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।

ads

অতএব সে ম্যাচে জয় বিকল্প অন্য কোন ফন্দি কাজে আসবে না বাংলাদেশের। অন্যদিকে, গ্রুপে থাকা নেপাল একেবারেই নবাগত। কিন্তু হুঙ্কার দিচ্ছে বেশ জোরেশোরেই। অভিজ্ঞতার বিচারে হোক আর শক্তিমত্তা, বাংলাদেশের ম্যাচটি জেতার কথা। তবে তার আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ পাত্তা পাবে না বলেই হয়ত ধরে রেখেছে সকলে। খোদ বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের তেমন ধারণা থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কাগজে কলমে এবং মাঠের পারফরমেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা ডি-গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল।

প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডারে কুইন্টন ডি কক, রিজা হেন্ড্রিকস, এনরিখ ক্লাসেনদের মত ব্যাটার রয়েছে। অন্যদিকে, বোলিং প্রান্তে রয়েছেন কাগিসো রাবাদা ও এনরিখ নর্কিয়াদের মত বোলাররা। এই দলের সাথে বাংলাদেশ সহ গ্রুপের বাকিরা স্রেফ উড়ে যাবেই বলেই অধিকাংশ ক্রিকেট বোদ্ধাদের মত।

বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ার আশা হয়ত করতেই পারে বাংলাদেশ। তবুও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোন দলই ছোট দল নয়, সাকিব আল হাসানই তো সে কথা বলেছিলেন। অতএব নেদারল্যান্ডসও বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।

প্রাথমিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার দৌড়ে থাকবে তিনদল। দক্ষিণ আফ্রিকা ডি-গ্রুপের সবচেয়ে ফেভারিট। দ্বিতীয় দল হিসেবে যাওয়ার লড়াইটা হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। নেদারল্যান্ডস ও নেপাল হয়ত এশিয়ার দুই দলের বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াবে কিংবা পণ্ড করে দেবে পরিকল্পনা।

নেপাল অভিজ্ঞতার বিচারে বাকিদের চাইতে পিছিয়ে আছে বটে। কিন্তু চমক দেখানোর কোন সুযোগ হাতছাড়া অন্তত তারা করতে চাইবে না। বিশ্বকে থমকে দেওয়ার কাজটা কেই বা না করতে চায়। এখন দেখবার বিষয়, মাঠের খেলা কি উপহার দেবে বলে রেখেছে অপেক্ষায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link