বাংলাদেশ অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা শুরু করেছিল একেবারে খাঁদের কিনারা থেকে। একটা খারাপ সেশনই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে দিতে পারতো। তবে বাংলাদেশের বোলাররা সেটা হতে দেননি। ক্যারিবীয় ব্যাটারদের লাগাম টেনে রেখেছেন। বাংলাদেশকে অন্তত ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছেন।
প্রথমদিন ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির পর এই টেস্ট বাঁচানো বাংলাদেশের জন্য ভীষণ কঠিন সেটা সবাই জানে। তবুও দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের বোলাররা হাল ছেড়ে দেননি। পেসাররা দারুণ বোলিং করেছেন। এবাদত, খালেদরা ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের সহজে রান দেননি।
তবে শেষপর্যন্ত বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। এছাড়া এই টেস্টের প্রথমদিনেও তাঁর বোলিং খুব একটা ভালো হয়নি। তবে দ্বিতীয় দিনে অ্যান্টিগার কঠিন কন্ডিশনে মিরাজই বাংলাদেশের ভরসা হয়ে উঠলেন।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপের অন্যতম ভরসা তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরেও ভালো বোলিং করছেন এই স্পিনার। আজও বিদেশের মাটিতে নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তাঁর এমন বোলিংয়ে বাংলাদেশও ম্যাচে টিকে থাকতে পেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্রুত অল আউট করে আবার ব্যাটিংয়ে নামতে পেরেছে বাংলাদেশ। অল আউট হবার আগে অবশ্য বোর্ডে ১৬২ রানের লিড জমা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ফলে ম্যাচে বাংলাদেশ এখনো অনেকটা পিছিয়ে। তবুও দ্বিতীয় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সমানে সমান লড়াই করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে শেষবেলায় ব্যাট করতেও নেমেছিল বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় শুরুটা ভালোই করেছিলেন। দুজনে মিলে গড়েছিলেন ৩৩ রানের ওপেনিং জুটি। তবে হঠাতই তামিম অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন।
এরপর অবশ্য সাকিব নিয়মিত তিন নাম্বারে খেলা শান্তকে ব্যাট করতে পাঠাননি। কেননা তিন নাম্বারে নেমে অনেকদিন ধরেই রান করতে পারছিলেন না এই ব্যাটসম্যান। হয়তো দিনের প্রায় শেষে আর উইকেট হারাতে চাইছিলেন না সাকিব। তাই শান্তর জায়গায় পাঠানো হয় মিরাজকে। তবে মিরাজও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। মাত্র ছয় বল খেলেই ফিরে গিয়েছেন সাজঘরে।
এরপর অবশ্য আর কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষটা ভালোই সামাল দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬০ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে দৃঢ়তার পরিচয় দেন জয়। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এখনো ১১২ রানে এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।