প্রতিপক্ষ হোক না কোন ক্লাব, তবু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ এ দল মেলবোর্ন রেনিগেডসকে উড়িয়ে দিবে সেটা বোধহয় কেউ ভাবতে পারেনি। অচেনা কন্ডিশন, তার উপর টি-টোয়েন্টি নামক সংস্করণের সাথে বাংলাদেশের জন্ম শত্রুতা। তবু তারুণ্য নির্ভর দলটা তারুণ্যের শক্তিতে বড় জয় পেয়েছে, আরো স্পষ্ট করে বললে তরুণ বোলারদের দাপটে ৭৭ রানে জিতেছে আকবর আলীরা।
মেলবোর্নের দুই ওপেনার যখন চড়াও হতে শুরু করেছিলেন তখন আবু হায়দার রনি আক্রমণে এসেই তুলে নেন ম্যাকডোনাল্ডের উইকেট। সেই শুরু এরপর রকিবুল ইসলাম আর আলিস ইসলামের মিলিত অবদানে আরো তিন উইকেট দ্রুতই দখলে নেয় টিম টাইগার্স।
পুনরায় বল হাতে নিয়ে বাঁ-হাতি এই পেসার আবারো নাম লেখান স্কোরবোর্ডে; তবে রিপন মন্ডল যা করেছেন সেটা ছাপিয়ে গিয়েছে বাকি সব কিছুকেই। পনেরোতম ওভারে রীতিমতো অতিমানব হয়ে উঠেছিলেন তিনি, এক ওভারে তিন তিনজন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ফলাফল নির্ধারণ করে দেন।
শেষমেশ ৯৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে মেলবোর্ন রেনগেডস, রিপন ছাড়াও তিন উইকেট নিয়েছেন রকিবুল। বাকিদের মাঝে আলিস আর রনি নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
আবু হায়দার রনি ছাড়া বাকিদের কারোই মূল জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি এখনো, তিনি নিজেও খেলেছেন মোটে ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তাই বাংলাদেশ এ দলের বোলিং বিভাগকে অনভিজ্ঞ বলাই যায়, অথচ অজি কন্ডিশনের কি দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। একেবারে পরিকল্পনামাফিক বোলিং করেছেন, যাকে যখন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে তখন উইকেট এনে দিয়েছেন।
সত্যি বলতে বোলারদের ‘কমপ্লিট পারফরম্যান্স’-এর সৌজনে এমন আধিপত্য দেখিয়ে জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বোলারদের কার্যকরী উপায়ে ব্যবহারের জন্য অধিনায়কের প্রশংসাও করতে হয়।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে তানজিদ তামিম অবশ্য বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, কিন্তু বরাবরের মতই সেট হয়ে আউট হয়ে যান তিনি। বাকিরাও তাঁর সঙ্গে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে লজ্জার শঙ্কা দেখা দেয়। তবে একপ্রান্ত আগলে পারভেজ হোসেন ইমনকে রক্ষা করেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন তিনি।