ব্ল্যাকক্যাপসদের মাটিতে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ

টি-টোয়েন্টি বরাবরই বেশ দূর্বল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম সংস্করণ পরিচিতি পেতে শুরু করে পুরো বিশ্বে। ক্রিকেটের বৈশ্বিকায়নের ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সম্মুখভাগ থেকেই রাখছে ভূমিকা।

বাংলাদেশ দল শুরু থেকেই এই সংস্করণের সাথে পরিচিত। তবুও প্রায় ১৭ বছরে এই সংস্করণে উন্নতির চিত্র খুব একটা উল্লেখযোগ্য না। তবুও আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সূত্রপাত হচ্ছে সুদূর নিউজিল্যান্ডে। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তবে কিউইদের দেশে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি যেন আতস কাঁচ দিয়েও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেই এক মাউন্ট মঙ্গানুই-তে টেস্ট জেতা, আর নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচ জয়। এই দুই স্মৃতিই আসলে বাংলাদেশের সঙ্গী।

এখন অবধি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার নয়টি ম্যাচ খেলেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাকি দু’টি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। হতাশার ধূসর রঙ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। এই ১১ ম্যাচের একটি ম্যাচেও বাংলাদেশ দেখেনি জয়ের মুখ।

জয় তো দূরের কথা। একটি ম্যাচেও জয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। উইকেট বিচারে সর্বোচ্চ ১০ উইকেটে পরাজয়ের ঘটনা রয়েছে। পাশাপাশি রানের বিচারে ৬৬ রানের বড় ব্যবধানের পরাজয়ও দেখেছে বাংলাদেশ দল।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দলীয় সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশ করতে পেরেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৭৬ রান জমা করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটিও তাদের হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

এমন এক অতীত নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও মাঠে নামতে চলেছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ রান করা সাকিব আল হাসান নেই দলে। এছাড়াও দলে নেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করা রুবেল হোসেন।

কিউইদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন সাকিব। দুই ফিফটিতে ৩০ এর বেশি গড়ে ২১৩ রান এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে। স্ট্রাইকরেটও বেশ যুতসই, ১৩৫.৬৬। অন্যদিকে রুবেল চার ম্যাচে নিয়েছেন সাত উইকেট। তবে রান খরচ করেছেন ওভারপ্রতি প্রায় ১০ করে।

তবে তাদের দুইজনের কেউই এই মুহূর্তে নেই নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করা দলে। সুতরাং দলে থাকা ক্রিকেটারদেরই নিজেদের এমন নিদারুণ ধূসর অতীতকে বদলাতে হবে। শান্তর দলকেই একটু রঙিন স্মৃতির ছবি আঁকতে হবে, নিউজিল্যান্ডের সবুজের মাঝে।

তারুণ্য নির্ভর দলটার কাছ থেকে সেটুকু অবশ্য প্রত্যাশা করাই যায়। তবে কাজটা বেশ কঠিনই হতে চলেছে বাংলাদেশের জন্যে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ঘাটতি কতটুকু পুষিয়ে নিতে পারবেন লিটন, হৃদয়রা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link