ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর তাই ভারতের মাটিতে বসেছে এক ঝাঁক ক্রিকেট তারকার মেলা – শুধু মাঠেই নয়, প্রায় প্রতিটা দলের ড্রেসিংরুমেও আছেন ক্রিকেট কিংবদন্তিরা। তাঁরা অবশ্য বাইশগজে ব্যাট বলের লড়াই করতে নয়, এসেছেন কোচ হিসেবে। রাহুল দ্রাবিড়, অ্যালান ডোনাল্ড, মরনে মরকেল, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি – কত কত পরিচিত নাম।
কোচদের এই দ্বৈরথে অবশ্য বাংলাদেশের দলই সবচেয়ে এগিয়ে। সর্বোচ্চ সাতজনকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে টাইগারদের কোচিং প্যানেল। হেডকোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের সঙ্গে সহকারী হিসেবে আছেন নিক পোথাস, দলের ব্যাটিং বিভাগের দেখাশোনাও করছেন তিনি। এছাড়া আছেন অ্যালান ডোনাল্ড এবং রঙ্গানা হেরাথ, দুজনে যথাক্রমে পেসার ও স্পিনারদের কোচিং করান।
সেই সাথে শেন ম্যাকডরমেটকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আছেন ফয়সাল হোসেন। অন্যদিকে বিশ্বকাপ উপলক্ষে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে প্যানেলে যুক্ত করা হয়েছে অভিজ্ঞ শ্রীধরন শ্রীরামকে।
বলাই যায়, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় কোচিং বহর টাইগারদের। পনেরোজন ক্রিকেটারের বিপরীতে সাতজন কোচ – অর্থাৎ প্রতি দুইজনের জন্য একজন। টিম ম্যানেজম্যান্টের অংশ করা হয়েছে ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকেও, একহিসেবে তাই বাংলাদেশের কোচ আটজনই।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়জন কোচ নিয়ে ভারতের বিমান ধরেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন দলটির হেডকোচ। এই প্যানেলে আছেন মরনে মরকেলের মত কিংবদন্তি পেসারও। তাছাড়া মিকি আর্থার, অ্যান্ড্রু পুটিককে দেখা যাবে বাবর আজমদের সঙ্গে।
অন্যদিকে স্বাগতিক ভারতের কোচের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়ের পাশাপাশি মাত্র তিনজন কাজ করছেন রোহিত শর্মাদের নিয়ে। তাঁরা হলেন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাথোড়, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। পুরো বিশ্বকাপে ভারতই একমাত্র দল যাদের সব কোচই স্বদেশী।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এসেছে পাঁচজন কোচ নিয়ে। গ্রাহাম গুচ, ম্যাথু মট এই কোচিং প্যানেলের চেনা মুখ। সমানসংখ্যক কোচ রয়েছে রশিদ খানদের ড্রেসিরুমেও, তবে জোনাথন ট্রট ছাড়া সেখানে বড় নাম তেমন নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশী কোচদের বৈশ্বিক ক্রিকেটাঙ্গনে তেমন দেখা যায় না; তবে এবারের বিশ্বকাপে লঙ্কান ড্রেসিংরুমে থাকবেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ। আকবর, হৃদয়দের ২০২০ যুব বিশ্বকাপে কোচিং করানো নাভিদ নেওয়াজ এখন শ্রীলঙ্কা দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছাড়াও শানাকাদের আরো তিনজন কোচ রয়েছে।
অংশগ্রহণকারী বাকি সব দলেও চারজন করে কোচ রয়েছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিং রুমেও কোচ নিয়ে মাতামাতি নেই। বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ছাড়া তেমন বড় নাম নেই তাঁদের শিবিরে। একই কথা বলা যায় নেদারল্যান্ডসের জন্যও, জানাশোনার মাঝে কেবল প্রোটিয়া তারকা রায়ান কুক আছেন দলটির হেডকোচ পদে।