করোনার পর ৪১ ম্যাচের বছর

গত বছরটাও হওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ব্যস্ত বছর। ১১টা টেস্ট খেলার কথা ছিলো গত বছরে। কিন্তু এক করোনা এসে থমকে দিলো সারা বিশ্ব।

করোনার প্রবল ধকলকে পাশ কাটিয়ে ইতিমধ্যে সচল হয়েছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট চাকা। বাংলাদেশও খুব একটা দূরে নয়। খুব দ্রুতই তারা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ফিরবে।

করোনা বিপর্যয়ে গত বছরের মার্চ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ। এসময় স্থগিত হয়ে গেছে অনেক সিরিজ। গত বছরের বেশীর ভাগ সময় খেলাহীন থাকলেও চলতি বছর ব্যাস্ত সময় পার করবে বাংলাদেশ।

এফটিপির সূচি অনুযায়ী ২০২১ সালে ৪১ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের। চলতি বছর ১১ টি টেস্টের সাথে ১২ টি ওয়ানডে ও ১৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের জুনে এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টি ও অক্টোবর নভেম্বরে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অংশ নেবে বাংলাদেশ।

চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। এই সিরিজটা একাধারে বাংলাদেশের বেশ কিছু পরীক্ষা নেবে। করোনার পর জৈব বলয়ে কেমন দক্ষতার সাথে ক্রিকেট আয়োজন করা যায়, সেটা আয়োজকদের জন্য পরীক্ষা। অন্য দিকে ক্রিকেটারদেরও নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে।

সিরিজের সূচি:

২০ জানুয়ারি : ১ম ওয়ানডে – মিরপুর

২২ জানুয়ারি : ২য় ওয়ানডে – মিরপুর

২৫ জানুয়ারি : ৩য় ওয়ানডে – চট্টগ্রাম

৩-৭ ফেব্রুয়ারি : ১ম টেস্ট – চট্টগ্রাম

১১-১৫ ফেব্রুয়ারি : ২য় টেস্ট – মিরপুর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষে মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে ৩ টি ওয়ানডের সাথে ৩ টি টি-টুয়েন্টি খেলবে টাইগাররা।

এটা হবে বাংলাদেশের জন্য আরেকটা কঠিন ব্যাপার। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগের কারণে খুব গুরুত্বপূর্ন এই সফরে কিছু জয় নিয়ে ফিরতে পারলে অনেক বড় ব্যাপার হবে।

সিরিজের সূচি:

১৩ মার্চ : ১ম ওয়ানডে – ডানেডিন

১৭ মার্চ : ২য় ওয়ানডে – ক্রাইস্টচার্চ

২০ মার্চ : ৩য় ওয়ানডে – ওয়েলিংটন

২৩ মার্চ : ১ম টি-টোয়েন্টি – নেপিয়ার

২৬ মার্চ : ২য় টি-টোয়েন্টি – অকল্যান্ড

২৮ মার্চ : ৩য় টি-টোয়েন্টি – হ্যামিল্টন

নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পর করোনা ইস্যুতে স্থগিত হওয়া টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এখনো এই সিরিজ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিরিজে ৩ টি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিবর্তিত পয়েন্ট পদ্ধতির কারণে একটি টেস্ট কমার সম্ভবনা রয়েছে।।

মে মাসে বাংলাদেশের কোন খেলা নেই। জুন মাসে এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টির আসর বসবে শ্রীলঙ্কায়। আইসিসির একটি সহযোগী দলকে নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান অংশ নেবে এশিয়া কাপে। এখনো এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত হয়নি।

এশিয়া কাপ শেষে প্রায় ৮ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ। জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া সিরিজে ২টি টেস্ট, ৩ টি ওয়ানডে ও ৩ টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।

আগস্টে কোন খেলা নেই বাংলাদেশের। অক্টোবরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ড। সফরে ৩ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজও খেলবে দুই দল।

অক্টোবর নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশ নেবে ১২ টি দল। মূল পর্বে খেলতে গ্রপ পর্বের তিন ম্যাচ খেলে কোয়ালিফাই হতে হবে বাংলাদেশকে। কোয়ালিফাই করলে অন্তত আরও পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে নভেম্বর ডিসেম্বরে ৬ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। সফরে ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। ডিসেম্বরেই ২টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কাও।

উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ ছাড়া এখনো বাকি সিরিজ গুলোর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link