পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জন্য হাহাকার

ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়ার ক্যামরেন গ্রিন কিংবা নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম - নিজের দিনে এরা সবাই একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আর টিম কম্বিনেশনের বেলায় এরা যেকোনো দলের জন্যই আশীর্বাদ। উপরের নামগুলো এক বিন্দুতে মিলে গিয়েছে, আর সেটি হলো এরা সবাই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস, ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়ার ক্যামরেন গ্রিন কিংবা নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম – নিজের দিনে এরা সবাই একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আর টিম কম্বিনেশনের বেলায় এরা যে কোনো দলের জন্যই আশীর্বাদ। উপরের নামগুলো এক বিন্দুতে মিলে গিয়েছে, আর সেটি হলো এরা সবাই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

ক্রিকেটের অন্য পরাশক্তির মতই বাংলাদেশ দলের জন্যও একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার বড্ড প্রয়োজন। কিন্তু স্পিন নির্ভর এই দেশে পেস যেখানে বোলারের সংকট, সেখানে পেস বোলিং অলরাউন্ডার তো বিলাসিতা।

আফগানিস্তান সিরিজ সামনে রেখে আরেক বার পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব নিয়ে কথা উঠে এসেছে। অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠেও ঝরেছে আক্ষেপ। ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব বোধ করেন কি না এমন প্রশ্নে সম্মতি দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই, আমার কাছে মনে হয় যে এমন অনেক কন্ডিশন থাকে যেখানে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকলে টিমের জন্য ভাল হয়। সত্যি কথা বলতে পেস বোলিং অলরাউন্ডার দরকার কিন্তু কে সেটাও একটা প্রশ্ন।’

বর্তমানে শুধু জাতীয় দলে নয়, পাইপলাইনেও নেই কাজ চলার মত কোন পেস অলরাউন্ডার। যদিও, এখানে তামিম ইকবাল স্মরণ করলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কথা। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি টিমের বাইরে যারা আছে তাদের কথা চিন্তা করি তাহলে সাইফউদ্দিন একটা অপশন হতে পারে। বাট সে এই মুহূর্তে ইনজুরিতে আছে। এমনকি আমাদের ডমেস্টিকেও এমন কেউ নেই যারা পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রেগুলারলি ভাল করছে।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘কেউ হয়তো পেসার, টুকটাক ব্যাটিং জানেন। আবার কেউ হয়তো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি হাত ঘোরান। একমাত্র সাইফুদ্দিনকে আমি ইকুয়াল ধরি; তাও সে বোলিং অলরাউন্ডার।’

যে সাইফউদ্দিনকে নিয়ে এত কথা, তিনি নিজেই চোটের কাছে অসহায়। তাই তাঁকে নিয়ে আপাতত ভাবছে না টিম ম্যানেজম্যান্ট। অথচ সাত-আট নম্বরে তিনিই হতে পারতেন দলের বড় সম্পদ।

এসব জানা আছে তামিমেরও; তাঁর কথাতেও উঠে এসেছে সাইফের ইনজুরির তথ্য। তবে আপাতত নিজেদের হাতে থাকা অপশন নিয়েই পরিকল্পনা করতে চান তিনি, হুটহাট বাইরে থেকে দলে নিয়ে আসা পছন্দ নয় চট্টলার খান সাহেবের।

কিন্তু সাইফউদ্দিন ফিট না এখন, তাই তাঁকে বিবেচনায় নেওয়া কঠিন। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে যে অপশন আছে সেগুলো নিয়েই আমার কাজ করছি। হ্যাঁ, এরকম থাকলে ভাল হতো, কিন্তু আমাদের ঘরোয়াতেও এরকম দু-চারজন নেই যারা নিয়মিত পারফর্ম করছেন। আননেসেসারি কাউকে দলে আনা কতটুকু যৌক্তিক সেটাও তাঁর জানার বাইরে বলে জানিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক।

ঘুরে ফিরে সেই একই সমস্যা, বারবার পেস বোলিং অলরাউন্ডার নামক একটা জায়গায় আটকা পড়তে হচ্ছে টিম বাংলাদেশকে। সাইফউদ্দিন নিজের ফিটনেস নিয়ে আরেকটু সচেতন হলে হয়তো এতটা ভাবতে হতো না; আপাতত তাই সৌম্য সরকারের মত মেক-শিফট অলরাউন্ডারকে কাজে লাগানোর চিন্তা করতে হচ্ছে কোচকে।

এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটা ম্যাচ দেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। যদিও তাঁকে ঠিক অলরাউন্ডারের কাতারে রাখা যায় না। তামিমের কথাতেই অবশ্য বাংলাদেশের পরিকল্পনা বোঝা যাচ্ছে; হাতে থাকা অস্ত্রের সেরা ব্যবহারটা করতে চায় বাংলাদেশ। অন্তত ওয়ানডে ফরম্যাটে একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল রয়েছে টাইগারদের, তাই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ছাড়াই নিজেদের স্বপ্ন ছোঁয়ার কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নিশ্চয়ই নয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...