রাতে পোহালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সারির দল। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে আয়োজিত এই সিরিজে দুই দেশেরই লক্ষ্য বেঞ্চের শক্তি যাচাই করে নেয়া, তাই তো ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটারদের দিকেই চোখ থাকবে বেশি।
তবে ফলাফল একেবারেই ফেলনা নয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য তো নয়ই। উপরের দিকে থাকা কিউইদের হারাতে পারলেই মিলবে রেটিং পয়েন্ট, এমনকি হোয়াইট ওয়াশ করতে পারলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে উঠে আসবে টাইগাররা। অনেকদিন ধরেই সাত নম্বরে ঘুরপাক খাওয়া দলটার জন্য ছয়ে ওঠার এটি সুবর্ণ সুযোগ।
বর্তমানে নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ টেবিলের ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে আছে; তাদের রেটিং পয়েন্ট যথাক্রমে ১০০ এবং ৯৪। কিন্তু ৩-০ ব্যবধানে সফরকারীদের সিরিজ হারাতে পারলে টিম টাইগার্সের পয়েন্ট হবে ৯৯ এবং কিউইদের হবে ৯৬। ফলে বাংলাদেশ তাঁদের হটিয়ে এক ধাপ উপরে উঠে আসবে। বিশ্বকাপের আগে আগে তেমনটা ঘটলে মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকবে টিম বাংলাদেশ।
ইতিবাচক সম্ভাবনার পাশাপাশি শঙ্কার কারণও আছে, ব্ল্যাকক্যাপসদের কাছে উল্টো হোয়াইট ওয়াশ হলে র্যাংকিংয়ে অবনমন ঘটবে বাংলাদেশের। ৯১ পয়েন্ট নিয়ে টাইগাররা তখন চলে যাবে শ্রীলঙ্কার পিছনে। ১০৪ পয়েন্ট নিউজিল্যান্ড অবশ্য ছয়েই থাকবে।
এছাড়া ২-১ ব্যবধানে লিটন দাসরা জয় পেলে নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট কমে দাঁড়াবে ৯৮ তে, অন্যদিকে বাংলাদেশের হবে ৯৬। আবার একই ব্যবধানে স্বাগতিকরা সিরিজে হেরে গেলে ব্ল্যাক ক্যাপসদের পয়েন্ট ১০১ থাকবে, বাংলাদেশের নামের পাশে থাকবে ৯৩ পয়েন্ট। তবে এমন কিছু হলে দুই দলের অবস্থানে কোন পরিবর্তন আসবে না।
বাংলাদেশ অবশ্য অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে পুরনো পরিসংখ্যানে। ঘরের মাঠে দুইবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুখস্মৃতি আছে টাইগারদের। ২০১০ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামদের ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছিল সাকিব বাহিনী। তিন বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল, তিন ম্যাচ সিরিজের সব কয়টি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল কিউইরা।
বাংলাদেশের ওয়ানডে দল এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। আবার নিউজিল্যান্ডও তাঁদের পূর্ণ শক্তির দল পাঠায়নি; তাই এবারের সিরিজও জেতা উচিত টাইগারদের। সাকিব, মুশফিকরা না থাকলেও আছেন তামিম, রিয়াদ, ফিজের মত তারকারা। তাই বড় কিছুই প্রত্যাশা করছে লাল-সবুজের ক্রিকেটপ্রেমীরা।