টি-টোয়েন্টিতেও ব্ল্যাকক্যাপসদের হারালো বাংলাদেশ

গত বছর টেস্টে হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবার ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর কেবল টি-টোয়েন্টিতে জয় পাওয়া বাকি ছিল। বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই সুযোগ চলে আসে ইতিহাসকে পূর্ণতা দেয়ার, লিটন দাসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই শেখ মেহেদীর হাতে বল তুলে দেন নাজমুল শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে প্রথম ওভারেই ওপেনার টিম সেইফার্টকে ফেরান এই স্পিনার। পরের ওভারে শরিফুল ইসলাম আক্রমণে এসে পরপর দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। ১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।

ইনফর্ম ড্যারেল মিশেল তখন কাউন্টার এটাকের পথ বেছে নেন, কিন্তু তাঁকেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি মেহেদী; ১৪ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। মার্ক চ্যাপম্যানকে সঙ্গে নিয়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেন জেমস নিশাম; দুজনের ৩০ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তি পায় কিউইরা।

চ্যাপম্যান ফেরার পর স্যান্টনারের সঙ্গে মিলে আরও ৪১ রান যোগ করেন নিশাম। কিন্তু শরিফুল আবারো ব্রেক থ্রু এনে দিলে তিনি একা কিছু করতে পারেননি। খানিক পরেই মুস্তাফিজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৪৮ রানে থামেন তিনি। তনি দলের রানও তখন বলার মত হয়নি, শেষমেশ অ্যাডাম মিলনের ১৬ রানের কল্যাণে ১৩৪ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।

জবাবে প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। যদিও ১০ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। তিন নম্বরে শান্ত অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, দারুণ কিছু শটও খেলেছেন। কিন্তু নিশামের বলে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন টাইগার দলপতি। সৌম্য সরকারও অনুকরণ করেন অধিনায়ককে, ১৫ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।

এক প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চললেও লিটন দাস ঠিকই অবিচল ছিলেন আরেক প্রান্তে। শান্ত-সৌম্যদের বিদায়ের পর হাল ধরেন তিনি; তবে তাওহীদ হৃদয়কেও পাশে পাননি বেশিক্ষণ, ১৮ বলে ১৯ রান করে আউট হন তিনি। এই সুযোগে ম্যাচে ফেরে কিউইরা, আফিফকে ১ রানে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সাউদি।

তবে লিটনের দৃঢ়তায় বৃথা গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সব পরিশ্রম। দুর্দান্ত ফিল্ডিং, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা সত্ত্বেও এই উইকেটকিপারের ৪২ এবং মেহেদীর ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। আর এই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে শান্ত বাহিনীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link