‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’ এই বাক্য শোনেননি এমন ক্রিকেট ভক্ত খুঁজে পাওয়া দায়। বাংলাদেশ দলের প্রতি একটা অভিযোগ সবসময়ই ছিল। ফিল্ডিংয়ে ততটাও ক্ষুরধার নয় দলটি। কিন্তু সেই কালিমা মুছে ফেলার পূর্ণ চেষ্টাটাই করছে যেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তা নিশ্চিতরুপেই প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রায়।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে যারপরনাই হতাশ সকলে, বিশেষ করে দলটির টপ অর্ডার নিদারুণ দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যতটুকু স্বস্তি রয়েছে এখন, তা বয়ে নিয়ে এসেছেন টাইগার বোলাররা। আর তাদেরকে সর্বাত্মক সহয়তা করেছেন দলটির ফিল্ডাররা।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যাচ লুফে নেওয়ায় সবার থেকে এগিয়ে টাইগার ক্রিকেটাররা। প্রায় ৯৫.২ শতাংশ ক্যাচ তালুবন্দী হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবদের। ২১টি ক্যাচের মধ্যে ২০টি ক্যাচই নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
এ যেন রীতিমত এক বিশাল বড় সফলতা। আধুনিক ক্রিকেটে ফিল্ডারদের অবদানও নেহায়েত কম নয়। একটি ক্যাচ ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে, একটু অতিরিক্ত প্রচেষ্টায় বাঁচানো যায় বেশ কয়েকটি রান। সেসবই ম্যাচের ফলাফলের পার্থক্য গড়ে দেয়। সেই সুযোগগুলোর পূর্ণ ব্যবহারটাই করে যাচ্ছেন রিশাদ হোসেনরা।
তাদের সাথে একই কাতারে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। যদিও গ্রুপ পর্বে তাদের ভাগ্য খুব একটা সুপ্রসন্ন হয়নি। ২১টির মধ্যে ২০ ক্যাচ লুফে নিয়েও তাদেরকে ছিটকে যেতে হয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যের বিষয়। তেমন দুর্ভাগ্যের শিকার অবশ্য হতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
৯১.৩ শতাংশ ক্যাচ তালুবন্দী করেও তারা পৌঁছে গেছেন সুপার এইটে। সফলভাবে ক্যাচ লুফে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই তিন দলই রয়েছে সবার উপরে। কিন্তু বাংলাদেশের এই সফলতার হার সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয়। দলটির একটি ইউনিট যখন ঠিকঠাক কাজ করছে না, তখন বাকি দুই ইউনিটকেই হতে হত ‘টপনচ’।
তানজিম সাকিব শতভাগ সফলতার সাথে ৪টি ক্যাচ ধরে নিজের জানান দিয়েছেন ‘কমিটমেন্ট’। সাকিব আল হাসান, রিশাদ ও শান্তরা তিনটি করে ক্যাচ নিয়ে তানজিম সাকিবের সাথেই একাগ্রতা পোষণ করেছেন। এখন দেখবার পালা দ্বিতীয় রাউন্ডেও এমন ধারাবাহিকতা ও সফলতা দেখাতে পারে কি-না। কেবল তবেই ছুঁয়ে দেখা যাবে নতুন কোন উচ্চতা।