টেস্টের তৃতীয় দিন থেকেই ডারবানের উইকেটে স্পিন ধরতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভালোই ভুগিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশ ম্যাচের থেকে একেবারে ছিটকে যায়নি কখনোই। তবে লাগামটা আলগা হয়েছিল। আজ আবার নিয়ন্ত্রকের আসনে ফিরতে বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল মিরাজের দিকে। মিরাজ হতাশ করেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের ঘরের মাঠের পুরো ফায়দাই তুলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পেসারদের জন্য স্বর্গ। আর উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য তো এই ভয়াবহতা মাত্রা ছাড়ায়। তবে প্রোটিয়ারা এবার বাংলাদেশকে রুখতে খেলেছে উলটো চাল। ডারবানের উইকেটে এবার তাঁরা স্পিনারদের জন্য রাখলো বাড়তি সুবিধা।
দক্ষিণ আফ্রিকা তাঁদের পরিকল্পনা মত একাদশে দুইজন স্পিনারও রেখেছে। যদিও বাংলাদেশের একাদশে স্পিনার শুধু মিরাজই। ফলে আজ সকালে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্রুত অল আউট করার জন্য বড় ভরসা ছিলেন মিরাজ।
যদিও আজ প্রথম উইকেটটা এনে দিয়েছেন এবাদত হোসেনই। এরপর প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের উইকেটটাও এসেছে পেসারদের হাত ধরেই। এবার উইকেটটা নিলেন তাসকিন আহমেদ। এই দুই পেসার সারাদিন ধরেই দারুণ বোলিং করে গিয়েছেন। দুই পেসার মিলে তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ওদিকে প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পাওয়া খালেদ আহমেদ এই ইনিংসে কোন উইকেট না পেলেও ভালো বোলিং করেছেন।
ওদিকে উইকেটের থেকে পাওয়া খানিকটা সুবিধার পুরোটাই কাজে লাগিয়েছেন মিরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়েও এই স্পিনার নিজেকে প্রমাণ করেই চলেছেন। মাত্র ৮৫ রান খরচ করে মিরাজের ঝুলিতে আছে তিন উইকেট। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষে পরপর দুই রান আউটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ।
বোলারদের সম্মিলিত পারফর্মেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ২০৪ রানেই অল আউট করে দেয় বাংলাদেশ। ফলে চতুর্থ ইনিংসে ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হতো ২৭৪ রান। তবে দিনের শেষভাগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে এসেছেন সাদমান, মুমিনুলরা। মাত্র চার ওভারের মধ্যেই স্বাগতিক স্পিনারদের সামনে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ।
মাত্র ১১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক কেউই নিজেদের স্কোর দুই অংক ছোয়াতে পারেননি। ফলে খুব একটা ভালো অবস্থানে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২৯৮ ও ১১/৩
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৬৭ ও ২০৪।