জলঘোলা হওয়া যেন থামছেই না। আসন্ন ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে ঘিরে জল্পনা-কল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। মূলত ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বই বিভিন্ন গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিচ্ছে। আজ শোনা যাচ্ছে এক কথা তো কাল আরেক। নতুন খবর হলো পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ম্যাচগুলো বাংলাদেশে হওয়ার সুযোগ নেই।
ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতার খবর আর নতুন নয়। সেই ১৯৪৭ সাল থেকে চলে আসা বিবাদ, ধারণ করেছে বিরাট আকার। এখন খেলাধুলার ময়দানেও ছড়িয়ে গেছে সেই দ্বন্দ্ব। তাইতো পাকিস্তানের খেলতে যেতে নারাজ ভারত। এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ড ফর ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। এমনকি কিঞ্চিৎ পরিমাণ সম্ভাবনারও অবকাশ রাখেনি বিসিসিআই।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইব্রিড মডেল উপস্থাপন করা হয় বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। সে মডেল অনুযায়ী পাকিস্তানের অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে ভারতের ম্যাচগুলো ভারত খেলবে নিরপেক্ষ কোন ভেন্যুতে। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ইতোমধ্যেই আরও একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুর সন্ধান শুরু করে দিয়েছে। আরব আমিরাতের কোন একটি স্টেডিয়ামে সম্ভাবনাই অত্যন্ত প্রবল।
সেই ঘটনার রেশ ধরে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে পাকিস্তানও এমন এক হাইব্রিড মডেলের কথা আইসিসির বোর্ড সভায় উপস্থাপন করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চায় বিশ্বকাপে তাদের ম্যাচগুলোও কোন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হোক। সেদিক থেকে বাংলাদেশ ছিল তাদের পছন্দের তালিকায়। তাইতো বাংলাদেশের সামনে আরও একবার বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ হাতছানি দিতে শুরু করে।
তবে এমন কোন প্রস্তাবের কথা নাকি গেল সপ্তাহে হওয়া আইসিসির বোর্ড সভায় উপস্থাপন করাই নাকি হয়নি। জনপ্রিয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে এমনটাই জানিয়েছেন সেই সভায় উপস্থিত থাকা এক আইসিসি প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, ‘বোর্ড সভায় বাংলাদেশ বিষয়ে কোন আলোচনাই হয়নি এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে ভারতে অনুষ্ঠিত (বিশ্বকাপ) হওয়ার ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়েছে।’
এই ঘটনার সত্যতা আবার পাওয়া যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের বক্তব্যে। কেননা তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে তিনি অবগত নন। তাছাড়া এমন কোন প্রস্তাব বিসিবির কাছে আসেনি। কেননা একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিশ্চয়ই চাট্টিখানি কথা নয়, বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। পর্যাপ্ত সময় দিতে হয় আয়োজক দেশকে। সেদিক থেকে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি অত্যন্ত ক্ষীণ এক সম্ভাবনা।
তবে এই বিষয়টির সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে আইসিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম খান। তিনি পাকিস্তানি এক গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না পাকিস্তান ভারতে (বিশ্বকাপের) ম্যাচ খেলবে। আমার মনে তাদের ম্যাচগুলোও ভারতের এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোর মত কোন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে।’
তাতেই গুঞ্জন ডাল-পালা মেলে বাড়তে থাকে। তবে শেষ অবধি ঠিক কতটা জলঘোলা হবে তা হয়ত সময়ই বলে দেবে।