ব্যর্থতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ দল

বাংলাদেশের জন্য সিরিজের ফেরার ম্যাচ অপর দিকে পাকিস্তানের জন্য ছিল সিরিজ নিশ্চিত করার লড়াই। এই লড়াইয়ে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো পাকিস্তান।

বাংলাদেশের জন্য সিরিজের ফেরার ম্যাচ অপর দিকে পাকিস্তানের জন্য ছিল সিরিজ নিশ্চিত করার লড়াই। এই লড়াইয়ে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো পাকিস্তান।

১০৭ রানের মামুলি লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামে শক্তিশালী পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিটা অবশ্য বেশিদূর গড়ায়নি। দলীয় ১২ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন বাবর আজম। ফিরেন মাত্র ১ রানে। আগের ম্যাচের মতো একই ভাবে দূর্ভাগ্যবশত আউট হন পাকিস্তানি অধিনায়ক। দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত জুটি পাকিস্তানকে ভীত গড়ে দেয় জয়ের। সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে যেয়ে দু’জনের জুটিতেই জয়ের কাছে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৪০ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ফখর। জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে বিপ্লবের ওভারে ফিরেন রিজওয়ান। তবে ১১ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফখর জামান ও হায়দার আলী।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচের মতো বেহাল দশা টাইগার ওপেনারদের। প্রথম দুই ওভারেই শেষ দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও নাইম শেখ! শাহিন আফ্রিদির বলে গোল্ডেন ডাকে সাইফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে নাইম শেখ ফিরেন ২ রানে। এরপর আফিফ ও নাজমুল শান্তর দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৩৭ বলে ৪৬ রান। এরপর দলীয় ৫১ রানে ব্যক্তিগত ২০ রানে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শাদাব খানের শিকার হন আফিফ।

একপ্রান্তে অসাধারণ খেলতে থাকেন শান্ত, সাথে যোগ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দু’জনে মিলে গড়েন ধীর গতির ২৮ রানের জুটি। এরপর মাত্র চারবলের ব্যবধানে হারিস রউফের বলে রিয়াদ ও শাদাব খানের শিকার হয়ে আউট নাজমুল শান্ত। দলের পক্ষে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন শান্ত। অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট মেহেদী হাসানও! মাত্র ৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে তখন বাংলাদেশ। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রানও তুলতে পারেনি কেউই।

শেষ পর্যন্ত সোহানের ১১ ও আমিনুল বিপ্লবের ৮ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন আফ্রিদি ও শাদাব খান নেন ২ টি করে উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ১০৮/৭ (২০ ওভার); শান্ত ৪০(৩৪), আফিফ ২০(২১), মাহমুদউল্লাহ ১২(১৫); শাহীন ৪-০-১৫-২, শাদাব ৪-০-২২-২ ওয়াসিম ৩-০-৯-১।

পাকিস্তান – ১০৯/২ (১৮.১ ওভার); ফখর ৫৭(৫১)*, রিজওয়ান ৩৯(৪৫); মুস্তাফিজ ২.১-০-১২-১, তাসকিন ৪-০-২২-০, মেহেদী ৪-০-২৩-০।

ফলাফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...