এপ্রিলে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর!

করোনা প্রকোপের ভিতরই গত অক্টোবরে শ্রীলংকা সফরে যাওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে স্থগিত হয়ে যায় শ্রীলংকা সিরিজ। এরপর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করে। চূড়ান্ত করে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও; আগামী মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসবে ক্যারিবিয়ানরা।

তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পালে আবারো হাওয়া লেগেছে। আগামী বছরের এপ্রিলে স্থগিত হওয়া সিরিজটি আয়োজন হওয়ার আশাবাদী বিসিবি। এফটিপির সূচি অনুযায়ী ঐ সময় খেলা নেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দলেরই।

আজ সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এই মুহূর্তে এপ্রিলকে টার্গেট করে করা হচ্ছে। এই সময় একটা অ্যাভেইলেবল স্লট আছে আমাদের এবং শ্রীলঙ্কার জন্য। সেভাবেই আমরা কাজ করছি।’

নতুন করে স্থগিত হওয়া সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাবটা শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকেই এসেছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধাণ নির্বাহী। সুজন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজের ব্যাপারে আমাদের শ্রীলঙ্কা বোর্ডের সঙ্গে কথা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা বোর্ড ব্যাসিকালি এই প্রপোজালটা ওদের কাছে থেকে এসেছে। ফার্স্ট স্পেলে আমাদের আলোচনাটি হচ্ছিলো। কিন্তু সিরিজটা হয়নি।’

শ্রীলঙ্কা সফরে বিসিবির ভাবনা জুড়ে শুধুই টেস্ট থাকবে। টেস্ট দুইটাই নির্ভর করবে এফটিপির সূচিতে জায়গা হবে কিনা তার উপর।  যদি জায়গা পাওয়া যায় তবে টেস্টের সাথে অন্য ফরম্যাটও যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।

তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরা ঐক্যমতে পৌছেছি যে আমরা আমাদের যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের যে কমিটমেন্ট রয়েছে সেই অনুযায়ী আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ খেলবো এবং তার সঙ্গে যদি অন্যকিছু যুক্ত হয় আমাদের এফটিপিতে ওই স্পেসটা পাওয়া যায় আমরা সেভাবেই কাজ করে নিবো।মিনিমাম টেস্ট দুইটা তো পুরোটাই নির্ভর করবে স্পেসের উপর।ওভাবেই আলোচনা চলছে।’

গত মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলো বাংলাদেশ। অক্টোবরে শ্রীলংকা সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ পর মাঠে ফেরার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন নিয়ে দুই বোর্ডের মতের মিল না হওয়াতে স্থগিত হয়ে যায় সিরিজ।

বাংলাদেশের চাওয়া ছিলো সফরের আগে ঢাকায় সাতদিন ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবে ক্রিকেটাররা। আর শ্রীলংকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় হোটেলেই অবস্থান করতে হবে সাবাইকে। এসময় অনুশীলনও করতে পারবে না বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে তখন আরো জানানো হয়েছিলো কোয়ারেন্টাইন শেষে অনুশীলন শুরুর পর নেট বোলারও দেওয়া হবে বাংলাদেশকে এমনকি দেশ থেকেও নেট বোলার নিতে পারবে না বাংলাদেশ। স্কোয়াডের বোলার দিয়েই করতে হবে অনুশীলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link