দশ দলের বিশ্বকাপ অষ্টম স্থানে থেকে শেষ করেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে গেলেও কোনক্রমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার টিকিট নিয়ে দেশে ফিরেছে টাইগাররা। এমন ব্যর্থতার জন্য ব্যাটারদের বড় রান না করতে পারাকেই বেশি দায়ী করছেন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম; তাঁর মতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘সেঞ্চুরি করতে না পারা দলের বেশি ক্ষতি করেছে। টপ চার ব্যাটারদের কেউ একটা সেঞ্চুরিও পায়নি, এটা হতাশাজনক। যে দলগুলো সেমির যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাঁদের ডাবল সেঞ্চুরির মত ক্রিকেটার রয়েছে করছে। আমি মনে করি এখানেই আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি।’
ভারতের বিপক্ষে তানজিদ হাসান তামিমের অর্ধশতকের কথা তুলে ধরে এই কোচ বলেন, ‘তানজিদের ফিফটির সময় বোলাররা তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল, উইকেটও খুব ভালো ছিল। বাংলাদেশের রান ছিল বিনা উইকেটে ৯৭(৯৩) তাই সে যদি সেই পঞ্চাশকে একশতে রূপান্তর করতে পারতো তাহলে ম্যাচের গল্প অন্যরকম হতো। একটা ফিফটিতে তাঁরা সন্তুষ্ট হয়, এই মানসিকতা বদলাতে হবে।’
এই ক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্তকে উদাহরণ মানছেন শ্রীরাম। তিনি বলেন, ‘গত ছয় থেকে আট মাসে শান্তর কনভার্শন রেট দারুণ। যদি অন্যরা তাঁর মত পঞ্চাশ করে সন্তুষ্ট না হয় তবে তাঁরা হান্ড্রেড বা বড় ইনিংস খেলতে পারবে।’
অল্পতেই তুষ্ট হয়ে যাওয়া শিষ্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই ভারতীয় কোচ। একই সাথে রাচিন রবীন্দ্র থেকে শেখার প্রস্তাবও দেন তিনি।
অবশ্য শান্তকে নিয়ে বেশ আশাবাদী শ্রীরাম। এই বাঁ-হাতি ব্যাটারকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্ত এমন একজন যে প্রতিদিন উন্নতি করতে চায়। সে তাঁর দলকে জেতাতে চায়। আসলে বিশ্বকাপে সে একাধিকবার দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৫ রানে রান আউট হলো বা শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সেঞ্চুরি করলে তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা হতো না।’
অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে রান করতে না পারায় লিটন নিজের প্রতি বিরক্ত এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার। তবে তাঁর দ্রুতই সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারবে এমন আশা করেন তিনি। একই সাথে টিম টাইগার্স নিয়মিত ৩২০+ রান করবে সেটাও প্রত্যাশা করেন – কিন্তু সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে হবে টপ অর্ডারকেই।