বাংলাদেশের অধিনায়করা যখন নির্বাচনের মঞ্চে
বলা হয় ক্রিকেটে অধিনায়কই সর্বেসর্বা। দলের ক্ষেত্রে মাঠে তাঁর সিদ্ধান্তই শেষ কথা। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নেতৃত্ব দিয়েছেন মাঠের বাইরেও।
বলা হয় ক্রিকেটে অধিনায়কই সর্বেসর্বা। দলের ক্ষেত্রে মাঠে তাঁর সিদ্ধান্তই শেষ কথা। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নেতৃত্ব দিয়েছেন মাঠের বাইরেও।
ক্রিকেট অধিনায়ক রাজনীতিতে এসেছেন এমন বহু উদাহরণ আছে। ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা কিংবা মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনরা মাঠের বাইরে রাজনীতির ময়দানেও করেছেন রাজত্ব। বাংলাদেশেও এমন উদাহরণ আছে তিনজন। তারা হলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান।
- নাইমুর রহমান দুর্জয়
নাইমুর রহমান দুর্জয় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট । প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ৬ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। ক্যারিয়ার অবশ্য খুব বড় হয়নি। মাত্র ৮ টেস্ট আর ২৯ ওয়ানডে খেলতে পেরেছেন। খেলা ছাড়ার পর রাজনীতির মাঠেও পেয়েছেন কৃতিত্ব। ২০১৪ সালে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনে। নির্বাচনে জিতে যান সেবার। ২০১৮ সালে পরের নির্বাচনেও একই আসন থেকেই জেতেন। যদিও, এবার তিনি মনোনয়ন পাননি।
- মাশরাফি বিন মর্তুজা
ক্রিকেটার মাশরাফিকে কদর করেন সবাই। কী না করেছেন ক্রিকেটার হিসেবে! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পেসার তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে নিয়েছেন ৩৯০ উইকেট। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা। ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জিতেছেন ৪৯ টিতে। ক্রিকেটে থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন করেন ২০১৮ সালে। নড়াইল-২ আসন থেকে প্রার্থী হন। জিতেও যান বড় ব্যবধানে। দারুণ এই ক্রিকেটার পরে এমপি হিসেবেই অধিনায়কত্ব চালিয়ে যান ২০২০ সাল পর্যন্ত। এর মাঝে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০১৯ বিশ্বকাপেও। গতবারের মতো এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন একই আসনে।
- সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশের ক্রিকেটের যুবরাজ বলা হয় তাঁকে। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার পেয়েছেন সব। ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতই থেকেছেন অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। মোট খেলেছেন ৪৩০ ম্যাচ। রান করেছেন চৌদ্দ হাজারের বেশি, উইকেট পেয়েছেন ৬৯০ টি। অধিনায়ক হিসেবেও দারুণ সফল তিনি। জয়ের রেকর্ড বেশ ভালো। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মাগুরা-১ আসন থেকে।