ডাম্বুলায় গ্রুপ-বি এর শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়া নারী ক্রিকেট দলকে ১১৪ রানের বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। ফলে নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পৌছেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশের উদ্বোধনী দুই ব্যাটার দিলারা আখতার এবং মুর্শিদা খাতুন। মাত্র ৭ ওভার ৪ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ৩৩ রানে দিলারা সাজঘরে ফিরলেও অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে নিয়ে রানের খাতা সচল রাখেন মুর্শিদা। শেষ পর্যন্ত ৮০ রানে থামে তাঁর ইনিংস।
শেষের দিকে অধিনায়ক নিগারের ব্যাটে ভর করে ১৯১ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৭ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কখনোই ম্যাচে ফিরতে পারেনি মালয়েশিয়া মহিলা ক্রিকেট দল। মাত্র ৭৭ রানেই ইনিংস শেষ হয় তাঁদের। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে রুমানা আহমেদ ছাড়া সবাই কমপক্ষে একটি করে উইকেট নেন।
যদিও এশিয়া কাপের শুরুর যাত্রা মোটেই ভাল ছিল না বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পরাজয় দিয়ে শুরু করতে হয়েছিল তাঁদের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১১ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। বাংলাদেশের দেওয়া ১১২ রানের লক্ষ্য খুব সহজেই পার করে শ্রীলঙ্কা। ফলে ৭ উইকেটের পরাজয় দিয়েই নারী এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করতে হয় বাংলাদেশকে।
তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথমে ব্যাট করা থাইল্যান্ডকে মাত্র ৯৬ রানেই আটকে ফেলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে রাবেয়া খান একাই নেন ৪ উইকেট। থাইল্যান্ডের দেওয়া ৯৭ রানের জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। যেখানে ওপেনার নিগার সুলতানা ৫০ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন।
২৬ জুলাই শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এবারের নারী এশিয়া কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। গ্রুপ-এ তে নিজেদের ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত৷ ফলে বাংলাদেশের মেয়েদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ফাইনালে পৌছানোর জন্য।