চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দু:খ মুছলো রাফিনহার বার্সেলোনা

আপনি যদি বার্সেলোনার হয়ে খেলেন, আপনাকে সবকিছু জেতার মানসিকতা রাখতে হবে – এই একটা কথাতেই রাফিনহা আলাদা করে চিনিয়েছেন নিজেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর নূন্যতম প্রত্যাশা শিরোপা জয়।

আপনি যদি বার্সেলোনার হয়ে খেলেন, আপনাকে সবকিছু জেতার মানসিকতা রাখতে হবে – এই একটা কথাতেই রাফিনহা আলাদা করে চিনিয়েছেন নিজেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর নূন্যতম প্রত্যাশা শিরোপা জয়। সেজন্যই বোধহয় এএস মোনাকোর বিপক্ষে সেই হার সবচেয়ে বেশি তাঁতিয়ে দিয়েছে তাঁকে – আর সেই ক্ষোভ ঝড় হয়ে আছড়ে পড়েছে ভিয়ারিয়ালের ওপর।

আগের ম্যাচের যন্ত্রণা তো ছিলই, সেই সাথে নিয়মিত অধিনায়ক টার স্টেগানের চোটের কারণে আর্মব্যান্ড এসেছে সাম্বা বয়ের বাহুতে। দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল, তাতেই নিজের সেরাটা উজাড় করে দিলেন তিনি।

স্কোরবোর্ডে লেখাই আছে, এই রাইট উইঙ্গার করেছেন দুই গোল। দুটো গোলই প্রায় একই জায়গা থেকে একই ভঙ্গিমায় করা – বাম পায়ের জোরালো শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দিয়েছেন, উগরে দিয়েছেন সব জেদ। তবে যেটা লেখা নেই স্কোরবোর্ডে সেটা তাঁর প্রচেষ্টা, পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে তিনি যা করেছেন সেসব কেবল চোখে দেখেই অনুভব করতে হয়।

লা লিগায় এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচে পাঁচ গোল করলেন এই তারকা, সাথে আছে দুই অ্যাসিস্টও। অথচ জাতীয় দলে কিছু দিন আগেই জায়গা হারিয়েছিলেন তিনি। তবে নিজেকে প্রমাণে দু’দণ্ড দেরি হয়নি তাঁর।

ভিয়ারিয়ালের ম্যাচে অবশ্য আলো ছড়িয়েছে পুরো বার্সেলোনা। প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি, দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি মিস না করলে মিলতে পারতো হ্যাটট্রিকের দেখা। এছাড়া ওয়ান্ডার কিড পাবলো তোরে করেছেন এক গোল আর এক অ্যাসিস্ট।

লামিন ইয়ামালের কথা আলাদা করে বলতেই হয়, গোল না করেও তিনি ম্যাচের সেরা পারফর্মারদের একজন। যদিও অ্যাসিস্ট করেছেন একটা, সেই সাথে তিনটি বিগ চান্স তৈরি আর পেনাল্টি জিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন আগামী এক প্রজন্মকে শাসন করতেই তাঁর উত্থান।

সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উড়ন্ত প্রত্যবর্তন ঘটলো কাতালানদের। লিগে নিজেদের দুর্ধর্ষ ফর্ম ধরে রেখেছে তাঁরা, ছয় ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে এখন চার পয়েন্ট এগিয়ে আছে দলটি।

Share via
Copy link