টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় স্কোর করতে হলে সবাইকেই দায়িত্বটা নিতে হয়। একেবারে প্রথম বল থেকেই আক্রমণ করতে হয়। ফরচুন বরিশালও ব্যাট করতে নেমে সেটাই করেছে। তাঁদের সাহায্য করেছে চট্টগ্রামের উইকেটও। এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেই তাঁরা করলো ২০২ রান।
চট্টগ্রামের উইকেট এমনিতেই ব্যাটারদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে। আর সেই সুবিধাটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে বরিশালের ব্যাটাররা। আর ঘরের মাঠে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের যেন কিছুই করার ছিল না।
ফরচুন বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে দুইশোর বেশি রান করেছে। আর বিশাল এই স্কোর করতে অবদান রেখেছেন প্রায় সবাই। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ইফতেখার আহমেদ। এছাড়া ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ রান।
এছাড়া বরিশালের হয়ে প্রায় সবাই ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন। যেমন ওপেন করতে নেমে এনামুল হক বিজয় খেলেছেন ২১ বলে ৩০ রানের ইনিংস। এরপর মিরাজ ১২ বল থেকে করেছেন ২৪ রান। ব্যাটিং করেছেন ২০০ স্ট্রাইকরেটে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ২৫ রান করেছেন মাত্র ১৭ বল থেকে।
ফলে সবার ছোট ছোট এই ইনিংসগুলোতেই পাহাড়সম স্কোর গড়ে বরিশাল। ওদিকে বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামও ঝড়ো শুরুই করেছিল। আগের ম্যাচের নায়ক উসমান খানও আজও ছিলেন বিধ্বংসী। তবে আজকে আর নিজের ইনিংসটা খুব একটা বড় করতে পারেননি উসমান। ১৯ বল থেকে ৩৬ রান করেই ফিরে যান তিনি।
আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও ডাউডও ফিরে গিয়েছেন ২৯ রান করেই। এই দুজনের বিদায়ের পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। যদিও আফিফ হোসেন চট্টগ্রামের হয়ে চেষ্টা করেছেন। এই ব্যাটার ২১ বল থেকে করেছেন ২৮ রান। আরেক ব্যাটার জিয়াউর রহমানও চেষ্টা করেছেন দলকে জেতানোর। তিনি ২৫ বল থেকে করেছেন ৪৭ রান। তবে সেটা ২০০ রান চেজ করে জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
চট্টগ্রামের অন্য ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটা খেলতে পারেননি। ওদিকে ব্যাটিং উইকেটেও প্রশংসনীয় বোলিং করেছেন সাকিবরা। সাকিব চার ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ২৭ রান। মেহেদী হাসান মিরাজও ৩ ওভার করে দিয়েছেন মাত্র ২০ রান। এছাড়া সাকিব, রাব্বি, করিম, খালেদ সবাই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
ফলে চট্টগ্রামে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল। দলের সবার অবদানেই সহজ এই জয় তুলে নিয়েছে সাকিবরা।