কেমন হবে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড?

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও এর পর আর একবারও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় এই সীমিত ওভারের বিশ্বকাপের দিকে চোখে রোহিত শর্মাদের। আর সেই লক্ষ্যেই দল গোছাতে শুরু করেছে ভারত। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই।  আসন্ন বছরেই আবার ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও এর পর আর একবারও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা হয়নি টিম ইন্ডিয়ার।

তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় এই সীমিত ওভারের বিশ্বকাপের দিকে চোখে রোহিত শর্মাদের। আর সেই লক্ষ্যেই দল গোছাতে শুরু করেছে ভারত। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই এই ফরম্যাট থেকে দূরে রয়েছেন দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি।

তবে তাঁদের অনুপস্থিতিতে ভবিষ্যৎ দল গঠনের কাজটা ভালভাবেই সেরে নিয়েছে ভারত। মজার ব্যাপার হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও এ দুই ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি স্বত্ত্বেও একাদশ গঠনে মধুর সমস্যায় আছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কে ইনিংস শুরু করবেন, কিংবা ফিনিশিং রোলেই বা কাকে নামানো হবে, তা নিয়ে এখনও দ্বিধান্বিত তাঁরা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে ভারতের হয়ে এ সময়কালে ইনিংস শুরু করেছিলেন রুতুরাজ গায়কড় ও জশস্বী জয়সওয়াল। সর্বশেষ সিরিজে এ দুই ওপেনারই ছিলেন দারুণ ছন্দে। এক সেঞ্চুরিসহ প্রায় ১৬০ স্ট্রাইকরেটে ৫ ম্যাচে ২২৩ রান করেছিলেন গায়কড়।

আর ১৩৮ রান করে পুরো সিরিজে ছন্দে না থাকলেও ১৬৮.২৯ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন জয়সওয়াল। প্রশ্ন হচ্ছে, শুভমান গিল একাদশে ফিরলে বাদ পড়বেন কে? অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে এ দুই ওপেনারের সৌজন্যেই প্রায় প্রতি ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল ভারত। কিন্তু গিল ফিরলে একজনকে জায়গা হারাতেই হবে।

এ ছাড়া ইনিংস শুরু করার দৌড়ে রয়েছেন ঈশান কিষাণও। যদিও তাঁকে নাম্বার তিনেই বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য ভারতের হয়ে এই ফরম্যাটে কিষাণের পরিসংখ্যান বেশ বিবর্ণ। ১৪.৩০ গড়ে মাত্র ১৪৩ রান করেছেন। এ সময়ে তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০-এরও কম, ৯৫.৩৩। তবে ছন্দে না থাকলেও বিরাট কোহলির বিকল্প হিসেবেই ঈশান কিষাণকে তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই বিবেচনায় নাম্বার তিনে সুযোগ পেতে পারেন এ ব্যাটার।

এ দিকে পিঞ্চ হিটার হিসেবে রিঙ্কু সিং এক প্রকার জায়গা পাঁকাই করে ফেলেছেন। যদিও তাঁর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হওয়া জিতেশ শর্মা মাত্র ২ টি ম্যাচ সুযোগ পেয়েছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে রিঙ্কু যেভাবে পারফর্ম করেছেন তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টিতে প্রথম পছন্দ হিসেবেই থাকছেন।

এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও দলে জায়গা হয়নি যুজবেন্দ্র চাহালের। অর্থাৎ রবি বিষ্ণয়ই বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকছেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর  ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতোই এ সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিবেন সুরিয়াকুমার যাদব।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...