লাল বলে ক্রিকেটারদের আগ্রহ বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ম্যাচ ফি এবং টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যারা এই ফরম্যাটকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান তাঁরা আর্থিকভাবে আগের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন।
চার ও পাঁচ দিনের ম্যাচে ক্রিকেটারদের আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে আলোচনা করেছে বিসিসিআই। এছাড়া নির্বাচক অজিত আগারকারের মতামতও নেয়া হয়েছে। আর সেখানেই পারিশ্রমিক বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, যাতে মাঝারি মানের কোন আইপিএল চুক্তির সমপরিমাণ অর্থ টেস্ট ক্রিকেটাররাও পান।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে রঞ্জি ট্রফির আবেদন হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে আইপিএলের নিলাম শেষ হয়ে গেলে এই টুর্নামেন্টে পারফরমারের সংখ্যাও কমে যায়। যার প্রভাব পাইপলাইনেও পড়তে শুরু হয়েছে, সেজন্যই নড়েচড়ে বসেছে দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নাম না প্রকাশের শর্তে বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে সুপারিশ চেয়েছে বোর্ড। ক্রিকেটের পুরনো সংস্করণকে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর বিসিসিআই। এজন্য প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের আইপিএলের মানদন্ডে পারিশ্রমিক দেয়া উচিত। অর্থাৎ বর্তমান পারিশ্রমিককে কয়েকগুণ করতে হবে।’
এখন রঞ্জি ট্রফির এক মৌসুমে সব ম্যাচ খেললে ২৫ লক্ষ রুপি পেয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে আইপিএলে যে কারো সর্বনিন্ম মূল্য ২০ লক্ষ রুপি। এই বিশাল পার্থক্য কমাতে পদক্ষেপ নেয়া হবে, রঞ্জির পুরো মৌসুমের জন্য ৭৫ লক্ষ রুপি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে বোর্ড কর্তা বলেন, ‘একসাথে তিনগুণ পারিশ্রমিক বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পারিশ্রমিক এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে সেটা নিশ্চিত, এজন্যই বোর্ড এখনো ক্রিকেটারদের বেতনের অংক প্রকাশ করেনি।’
শুধু তাই নয়, সাদা পোশাকের জন্য বোলারদের একটি পুল তৈরি করতে যাচ্ছেন অজিত আগারকার। মূল বোলারদের ব্যাকআপ প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য তরুণ পেসারদের শাণিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। এই পরিকল্পনায় আছেন খলিল আহমেদ, আর্শদ্বীপ সিং, মায়াঙ্ক যাদবের মত পেসাররা।