কেপিএল ও ভারত বনাম পাকিস্তান

পাকিস্তানের কাশ্মীরে এই মাসেও একটি নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) খেলার জন্য নাম লিখিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাবেক অনেক তারকাও। কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরের নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর অধিনায়কও ঘোষণা করা হয়েছে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটারদের। তবে এরমাঝেই কেপিএল বন্ধ করতে সরব হয়েছে ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।

পাকিস্তানের কাশ্মীরে এই মাসেও একটি নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) খেলার জন্য নাম লিখিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাবেক অনেক তারকাও। কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরের নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর অধিনায়কও ঘোষণা করা হয়েছে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটারদের। তবে এরমাঝেই কেপিএল বন্ধ করতে সরব হয়েছে ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।

আসছে সাত আগস্ট থেকে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল কেপিএলের। মোট ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির এই টুর্নামেন্টের সবগুলো খেলাই হওয়ার কথা মুজাফফরবাদ স্টেডিয়ামে। ছয়টি দল হলো – ওভারসিজ ওয়ারিয়র্স, মুজাফফরবাদ টাইগার্স, রাওয়ালকোট হকস, বাঘ স্ট্যালিয়নস, মিরপুর রয়্যালস এবং কোটলি লায়নস।

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, মোহম্মদ হাফিজ, কামরান আকমল ও শাদাব খানকে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর অধিনায়কও ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাবেক অনেক তারকারও খেলার কথা ছিল এই টুর্নামেন্টে। যদিও ভারতের তৎপরতায় অনেকেই এখন তাঁদের নাম সরিয়ে নিচ্ছেন।

টিনো বেস্ট, তিলকারত্নে দিলশান, হার্শেল গিবসের মত তারকাদের খেলার কথা কেপিএলে। তবে বিসিসিআই এই আসর বন্ধের জন্য ইতোমধ্যেই ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে চিঠি দিয়েছে। তাঁদের মতে কাশ্মীরের মত একটি বিতর্কিত অঞ্চলে এমন টুর্নামেন্ট করা ঠিক হবে না। যদিও এই ধরনের এলাকায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে না এমন কোন নিয়ম নেই আইসিসির।

তবে ভারত শুধু এতটুকুতেই থেমে থাকেনি। বিভিন্ন দেশের বোর্ডকেও তাঁরা তাঁদের ক্রিকেটারদের কেপিএল খেলার অনুমতি না দেয়ার জন্য বলেছে। যদিও সাবেক ক্রিকেটারদের কোন টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার জন্য বোর্ডের অনুমতিরও প্রয়োজন হয় না। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার হার্শেল গিবস এই বিষয়ে সম্প্রতি একটু টুইটারে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভারত অকারণেই পাকিস্তানের সাথে তাঁদের রাজনৈতিক সমস্যা এখানে টেনে আনছে এবং তাঁরা আমাকে কেপিএল খেলা থেকে আটকাতে চাইছে। এছাড়া কেপিএল খেললে এরপর ক্রিকেটের কোন কাজে আমাকে ভারতে ঢুকতে দেবে না বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। এটা সত্যিই হতাশাজনক।’

ওদিকে ভারতের এমন আচরণের পর সম্প্রতি সাবেক ইংলিশ পেসার মন্টি পানেসারও কেপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক সমস্যার কারণে আমি কেপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাশ্মীর নিয়ে তাঁদের যেই বাকবিতণ্ডা আমি তাঁর মধ্যে পড়তে চাইনা। এটা আমার জন্য অস্বস্তিকর হবে।’

উল্লেখ্য যে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর থেকেই কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নানা রাজনৈতিক সমস্যার তৈরি হয়। দুই দেশই এই অঞ্চলের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। ফলে এমন অবস্থায় অনেক বিদেশি ক্রিকেটারেরই কেপিএল খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ওদিকে পিসিবিও ভারতের এই কাণ্ড নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...