পুরুষ দল যেখানে ক্রমাগত পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে চলেছে, সেখানে নারীরা দেখাল ভিন্ন চিত্র। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে পাকিস্তান নারী দলকে তিন উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো বাংলাদেশ নারী দল। এখানে মনে রাখা দরকার, মেয়েদের ক্রিকেটে পাকিস্তান মোটেও সহজ কোনো প্রতিপক্ষ নয়।
পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই সাত উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের মেয়েরা। পায় তিন উইকেটের জয়।
সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদ ৪৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার। তাঁর হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ফারজানা হক। তবে, ইনিংসটি খেলতে নেন ৯০ টি বল। এছাড়া ওপেনার শারমিন আক্তারের ৬৭ বলে করা ৩১ রানও দলের বিপদ বাড়ায়।
যার ফলে, শেষের দিকে রান রেটের সাথে পাল্লা দিতে হয় বাংলাদেশ দলকে। ৩৭ বলে ৩৩ রান করেন রিতু মনি। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সালমা খাতুন ১৩ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। রুমানা আর সালমা – শেষ অবধি উইকেটে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ২৫ বলে ৪২ রান যোগ করেন তাঁরা।
পাকিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন নাশরা সান্ধু ও ওমাইমা সোহেল। মঙ্গলবার পাকিস্তান দলের প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। একই দিনে বাংলাদেশ দল মুখোমুখি হবে আমেরিকার বিপক্ষে।
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৩০ ওভারের মধ্যে ৭৭ রান করতেই পাঁচ উইকেট পারায় পাকিস্তান নারী দল। সেখান থেকে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন নিদা দার ও আলিয়া রিয়াজ।
নিদা ১১১ বল খেলে আটটি চার ও দু’টি ছক্কার সৌজন্যে ৮৭ রান করেন। অন্যদিকে আলিয়া শেষ অবধি ব্যাটিং করে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ৮২ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দু’টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে পাকিস্তান। বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে দু’টি করে উইকেট পান রিতু মনি ও নাহিদা আক্তার।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান নারী দল: ২০১/৭ (৫০)
বাংলাদেশ নারী দল: ২০২/৭ (৪৯.৪)
ম্যাচ সেরা: রুমানা আহমেদ (বাংলাদেশ)