কেভিন ডি ব্রুইনা, জেরেমি ডকুর মত তারকা আছেন বেলজিয়ামের স্কোয়াডে। স্বাভাবিকভাবেই চলতি ইউরোতে শিরোপার অন্যতম দাবিদার তাঁরা। অথচ দ্বিতীয় ম্যাচে রোমানিয়ার বিপক্ষে খেলতে হলো জীবন হাতে রেখে; কেননা হারলেই বাদ পড়তে হবে। যদিও ডু অর ডাই ম্যাচে জয় পেয়েছে দলটি।
টুর্নামেন্টে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচেই বেলজিয়াম মুখোমুখি হয়েছিল স্লোভাকিয়ার। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৪৫ ধাপ পিছিয়ে থাকা স্লোভাকিয়া সেদিন অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। রোমেলু লুকাকুর অবিশ্বাস্য সব মিসের সুবাদে কোন পয়েন্ট না নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বেলজিয়ামকে।
রোমানিয়ার বিপক্ষেও অবশ্য দুর্ভাগ্য ঝেঁকে বসেছিল লুকাকুর ওপর। গোল করেছেন ঠিকই, কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটা আর হিসেব করা হয়নি। আগের ম্যাচেও দুইবার গোল বাতিলের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এদিন তাঁর দুর্ভাগ্য বেলজিয়ামের জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি।
ম্যাচের মাত্র ৭৫ সেকেন্ডেই ইয়ুরি তিয়েলেম্যান্স খুঁজে নিয়েছিলেন জালের ঠিকানা। ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে যেভাবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন তিনি সেটা অনেকদিন মনে থাকবে সমর্থকদের। যদিও এবারের ইউরোতে প্রায় প্রতিদিনই এমন দুর্দান্ত গোলের দেখা মিলছে, কোনটা রেখে কোনটা মনে রাখবেন দর্শকেরা সেটাও ভাবনার বিষয়।
ম্যাচের বাকিটা সময় দু’দলই পেয়েছে স্কোরলাইন পরিবর্তনের সুযোগ, কিন্তু ফিনিশিং টাচ ভাল হয়নি কারোই। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে আসে কাঙ্খিত মুহূর্ত, বেলজিয়ান গোলরক্ষকের গোল কিক প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যায় ডি বক্সের দিকে। আর সেসময় বলে পা ছুইয়ে উদযাপনের উপলক্ষ তৈরি করেন ডি ব্রুইনা।
শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম। যদিও রোমানিয়া কতটা ভাল খেলেছে সেটা এমন স্কোরলাইনে বোঝা সম্ভব নয়, সেজন্য হেরে গেলেও দলটি নিশ্চিতভাবেই গর্ব করতে পারে নিজেদের নিয়ে। আপাতত তাঁদের সামনে নক আউট পর্বে জায়গা করে নেয়ার পালা, সেদিকেই হয়তো এখন মনোযোগী হবে তাঁরা।