হারে ম্লান বোলিং দাপট

টেস্ট ক্রিকেট যেনো বোলার ও ব্যাটারদের জন্য নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। তবে অনেক ক্ষেত্রেই নিজের সেরাটা দিয়ে দলের পক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। ক্যারিয়ারে ম্যাচ সেরা ফিগার নিয়েও অনেকেই দলকে জেতাতে পারেনি।

টেস্ট ক্রিকেট যেনো বোলার ও ব্যাটারদের জন্য নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। তবে অনেক ক্ষেত্রেই নিজের সেরাটা দিয়ে দলের পক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। ক্যারিয়ারে ম্যাচ সেরা ফিগার নিয়েও অনেকেই দলকে জেতাতে পারেনি।

এমনই বেশ কিছু ক্রিকেটারদের নিয়ে আজকের আলোচনা। দল হারলে যারা পুরো ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেছে।

  • টম রিচার্ডসন (ইংল্যান্ড)

১৮৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার এক টেস্ট। ইংলিশ পেসার টম রিচার্ডসনের দাপটে যেন দাঁড়াতেই পারছিলেন না অজি ব্যাটাররা। ওই ম্যাচে ২৪৪ রানে ১৩ উইকেট শিকার করেন রিচার্ডসন। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত মাত্র তিন উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

  • মার্ভ হিউজ (অস্ট্রেলিয়া)

সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার মার্ভ হিউজও আছেন এই তালিকায়। ডান হাতি এই পেসার ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ২১৭ রান দিয়ে ১৩ উইকেট শিকার করেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ৮ উইকেট শিকার করেন হিউজ। তবে চতুর্থ ইনিংসে ৪০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৩৪ রানেই গুড়িয়ে যায় অজিরা। ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

  • সিডনি বার্নস (ইংল্যান্ড)

সাবেক ইংলিশ পেসার সিডনি বার্নস ১৯০২ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এক টেস্টে ১৬৩ রানে ১৩ উইকেট শিকার করেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৭ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপ গুড়িয়ে দেন সিডনি। তবে সিডনি বার্নসের বোলিং দাপটের পরেও ওই ম্যাচে অজিরা ২২৯ রানের বিশাল জয় পায়। চতুর্থ ইনিংসে ৪০৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭৬ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।

  • জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)

এই তালিকায় দুইয়ে আছেন সাবেক ভারতীয় পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে ১৩২ রানের বিনিময়ে ১৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট শিকার করেন শ্রীনাথ। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরেও ২৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ রানে হেরে যায় ভারত।

  • আজাজ প্যাটেল

ভারতের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ২২৫ রানে ১৪ উইকেট শিকার করেন আজাজ প্যাটেল। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে ১০ উইকেট শিকার করে তৃতীয় বোলার হিসেবে দশ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। পুরো টেস্টেই অসাধারণ বোলিং করা আজাজ দলের টপ পারফরমার হলেও ৩৭২ রানে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড! ভারতের করা ৩২৫ রানের বিপরীতে মাত্র ৬২ রানেই গুড়িয়ে যায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। এরপর ৫৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৬৭ রানেই শেষ কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস।

হারা ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারে সবার উপরে আছেন আজাজ। তাঁর ম্যাজিকেল ঘূর্ণিতেও মুম্বাই টেস্টে হেরে যায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...