বিশ্বকাপের সেই সব কীর্তি

বর্তমান সময়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাট সম্ভবত টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম সংস্করণটি নিখাঁদ বিনোদনের মাধ্যম। দারুণ প্রতিদ্বন্দীতা, স্বল্প সময় ব্যয়, ব্যাটে চার- ছক্কার হইহই, বলে বলে উত্তেজনা, ধুপধাপ উইকেট পতন সব মিলিয়ে অন্যরকম দর্শক প্রিয়তা আছে টি-টোয়েন্টির। এটি এমন একটি ফরম্যাট যেখানে প্রতিটি বলই গুরুত্বপূর্ণ। তা ব্যাটসম্যান এবং বোলার উভয়ের জন্যই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরকে ঘিরে বিশ্ব ক্রিকেট এই মুহুর্তে মাতোয়ারা। এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের শুরু হয়েছে সেই ২০০৭ সাল থেকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাক্বালে এর ইতিহাসের সেরা পারফর্মেন্স এবং এখন অবধি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েকজন সেরা পারফর্মারদের সাথে পরিচিত হওয়া যাক।

  • আর পি সিং (ডারবান- ২০০৭)  

মাত্র ১৩ রানে চার উইকেটের একটি চাঞ্চল্যকর স্পেল। এই স্পেলের ফলেই ভারত ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারাতে সক্ষম হয়েছিল। সেবার সেমিফাইনালে অঠার জন্য অবশ্যই ভারতকে ম্যাচটি জিততে হতো।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় বোলার রুদ্র প্রতাপ সিং দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই জয়ের ফলে ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ভারত সেবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো।

  • যুবরাজ সিং (ডারবান-২০০৭) 

ডারবানে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে একা হাতেই দলকে জিতিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং। ৩০ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেললেন রীতিমতো। পাঁচ চার ও পাঁচ ছক্কায় সাজিয়েছিলেন ইনিংসটি। ভারত সেই ম্যাচে ১৫ রানে জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। 

  • লাসিথ মালিঙ্গা (পাল্লেকেলে- ২০১২) 

মালিঙ্গার দুর্দান্ত সেই স্পেলটি ছিল ৫-৩১। শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড বিশ ওভারে ১৫০ ছুঁতে পেরেছিলো। ম্যাচটির নায়ক ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। মাত্র ৩১ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ইংল্যান্ডের পাঁচটি মূল্যবান উইকেট। এর মধ্যে ইংলিশদের চারজন টপ অর্ডার ব্যাটারই ছিলেন তাঁর শিকার।

  • রঙ্গনা হেরাথ (চট্টগ্রাম- ২০১৪) 

ম্যাচটিতে মাত্র ১২০ রানের টার্গেট ছিল নিউজিল্যান্ডের সামনে। ক্রিকেটীয় হিসেবে সহজ জয় পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের বোলিং জাদুতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। ১৫.৩ ওভার শেষে মাত্র ৬০ রান সংগ্রহ করেই অল আউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ৩.৩ ওভার বল করে আঠারোটি ডট দেন রঙ্গনা হেরাথ। মাত্র তিন রানের বিনিময়ে কি দুর্দান্ত এক স্পেলে কিউইদের পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে ৫৯ রানের দারুণ এক জয় পায় শ্রীলঙ্কা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link