সিলেটের উইকেট যে ব্যাটিং সহায়ক – সেটাতে সন্দেহ নেই। সেখানে তাই শ্রীলঙ্কার করা ১৬৫ রান ধোপে টেকেনি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তাই সফরকারীদের এক অর্থে উড়িয়েই দিয়েছে বাংলাদেশ দল। নয় বল বাকি থাকতে বাংলাদেশ জিতেছে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
টসে জিতে বোলিং নেওয়া বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম ওভার মেইডেন, প্রথম তিন ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার রান আট। তবে, এখান থেকেই শ্রীলঙ্কার বদলে যাওয়ার শুরু। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভার শেষে তাই বোর্ডে জমা হয় ৪৯ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুই মেন্ডিস – কামিন্দু ও কুশল মিলে যোগ করেন ৬৬ রান, সেটাও মাত্র সাত ওভারে।
কুশল ২২ বলে ৩৬ ও কামিন্দু ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কার স্কোর অনায়াসে ২০০ কিংবা নিদেনপক্ষে ১৮০-১৯০ হতেই পারত। হয়নি, বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনে – বোর্ডে মন মত স্কোর জমা হয়নি শ্রীলঙ্কার।
শেষের দিকে ২১ বলে চারটি চারের সৌজন্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস করেন ৩২ রান। ১৫২-এর ওপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দাসুন শানাকাকে সাথে নিয়ে যোগ করেন ৫৩ রান। আর এর সুবাদেই পাঁচ উইকেটে বোর্ডে ১৬৫ রান জমা করে সফরকারী লঙ্কান দল।
শরিফুল ইসলাম কোনো উইকেট না পেলেও চার ওভারে হজম করেছেন মাত্র ২০ রান। আর এখানেই শ্রীলঙ্কার ইনিংস বড় হতে পারেনি। আর বাকিদের জন্য উইকেট নেওয়াটাও সহজ হয়েছে।
জবাব দিতে নেমে, ৬.৫ ওভারে সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ দল পায় ৬৮ রান। যদিও, মাঝে সৌম্যর নট আউটের সিদ্ধান্তকে ঘিরে মাঠেই বিরাট এক বিতর্কের জন্ম হয়। তবে, ম্য্যাচের ফলাফলে এর অবদান ছিল সামান্যই। সৌম্য-লিটন ফিরে গেলে সেকান থেকে আর পেছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তাঁদের ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।
অধিনায়ক শান্তর ফর্মে ফেরা ইতিবাচক। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। অন্যদিকে হৃদয় ২৫ বলে ৩২ রান করে দিয়ে গেছেন যোগ্য সঙ্গ। ৯ মার্চ, শনিবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। সেখানেই নির্ধারিত হবে সিরিজের ভাগ্য।