জন্মদিনে ওয়ানডের রেকর্ডগাঁথা

১৯৭১ সালের ৫ই জানুয়ারি ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওয়ানডের জন্ম হয় বেশ অদ্ভূতভাবেই! ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার টেস্টের প্রথম তিন দিনই ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। সেখান থেকেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে আয়োজন হয় একটি ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ। মূলত সেখান থেকেই জন্ম ওয়ানডে ক্রিকেটের।

১৯৭১ সালের ৫ই জানুয়ারি ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওয়ানডের জন্ম হয় বেশ অদ্ভূতভাবেই!

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার টেস্টের প্রথম তিন দিনই ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। সেখান থেকেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে আয়োজন হয় একটি ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ। মূলত সেখান থেকেই জন্ম ওয়ানডে ক্রিকেটের।

  • ওয়ানডে ক্রিকেটের যত রেকর্ডনামা

ওয়ানডে ক্রিকেটের বয়স ৫০ বছর

মোট ম্যাচ ৪২৬৭

ফল এসেছে ৪০৮০ ম্যাচে

পরিত্যক্ত ১৪৮

টাই ৩৯

বল গড়িয়েছে ২২৫৭৮৫০টি

রান হয়েছে ১৮২৬০২৫

উইকেট পড়েছে ৬০৬৭৬

  • *সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন – শচীন টেন্ডুলকার (৪৬৩)
  • *টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন – শচীন (১৮৫)
  • *অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ- রিকি পন্টিং (২৩০)
  • *সবচেয়ে কম বয়সে ওয়ানডে ডেব্যু – পাকিস্তানের হাসান রাজা (১৪ বছর ২২৩ দিন)
  • *সবচেয়ে বেশি বয়সে ওয়ানডে ডেব্যু – নেদারল্যান্ডসের নোলান ক্লার্ক (৪৭ বছর ২৪০ দিন) (সবেচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটারও তিনি)
  • *সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ – শচীন (৬২ বার)
  • *সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল – কুমার সাঙ্গাকারা (৪৮২)
  • *সবচেয়ে বেশি ক্যাচ (উইকেটরক্ষক হিসেবে) – এডাম গিলক্রিস্ট (৪১৭)
  • *সবচেয়ে বেশি ক্যাচ – মাহেলা জয়বর্ধনে (২১৮)
  • *সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিং – এম এস ধোনী (১২৩)
  • *সবচেয়ে বেশি উইকেট মুরালিধরন (৫৩৪)
  • *ইনিংস সেরা বোলিং – চামিন্দা ভাস (৮/১৯)
  • *সেরা বোলিং এভারেজ – রাশিদ খান (১৮.৫৪)
  • *ক্যারিয়ার সেরা ইকোনোমি – ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল গার্নার (৩.০৯)
  • *ইনিংস সেরা ইকোনমি – ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফিল সিমন্স (০.৩০)
  • *সেরা বোলিং স্ট্রাইক রেট – লুঙ্গি এনগিডি (২৩.২)
  • *সবেচেয়ে বেশি ‘ফাইফর’ নিয়েছেন – ওয়াকার ইউনুস (১৩)
  • *ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন – অস্ট্রেলিয়ার মিল লুইস ১০ ওভারে ১১৩/০ (প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

  • এক বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট – সাকলাইন মুস্তাক ৬৯ টি (১৯৯৭)
  • সবচেয়ে বেশি রান – শচীন টেন্ডুলকার  (১৮৪২৬)
  • সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর – রহিত শর্মা ২৬৪ (প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা)
  • প্রথম ওয়ানডে ফিফটি – ইংল্যান্ডের জন এডরিচ ৮২ (প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)
  • প্রথম ওয়ানডে শতক – ইংল্যান্ডের ডেনিস আমিস (প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)
  • সর্বোচ্চ রানের জুটি – গেইল ও স্যামুয়েলস ৩৭২ (প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে)
  • ক্যারিয়ার সেরা এভারেজ – রায়ান টেন ডাস্কাটে (৬৭.০০)
  • সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট – আন্দ্রে রাসেল (১৩০.২২)
  • সবচেয়ে বেশি শতক – শচীন টেন্ডুলকার (৪৯)
  • সবচেয়ে বেশি ফিফটি – শচীন টেন্ডুলকার (৯৬)
  • দ্রুততম ফিফটি – এবিডি ভিলিয়ার্স (১৬ বলে)
  • দ্রুততম শতক — এবিডি ভিলিয়ার্স (৩১ বলে)
  • ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ছক্কা – শহীদ আফ্রিদি (৩৫১)
  • সবচেয়ে বেশি চার – শচীন টেন্ডুলকার (২০১৬)
  • ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা – ইয়ন মরগান (১৭)
  • ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কা – ইংল্যান্ড ২৫ টি (প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান)
  • ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চার – রহিত শর্মা (৩৩)
  • ম্যাচের সবচেয়ে বেশি চার – শ্রীলঙ্কা ৫৬ টি (প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস)
  • ইনিংস সেরা স্ট্রাইক রেট – জেমস ফ্রাঙ্কলিন (৩৮৭.৫০)
  • এক ইয়ারে সবচেয়ে বেশি রান – শচীন টেন্ডুলকার ১৮৯৪ রান (১৯৯৮)
  • এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান – গ্রেগ চ্যাপেল (৬৮৬)
  • এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান ৩৬ (ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস ও বোলার নেদারল্যান্ডসের ডান ভেন বাঙ্গি)
  • ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ডাক – সনাথ জয়াসুরিয়া (৩৪)
  • কোনো শতক ছাড়া ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি রান – মিসবাহ উল হক (৫১২২)
  • আম্পায়ার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ- আলিম দার (২১১)
  • রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ- রঞ্জন মাধুগাল্লে (৩৬৩)
  • সবচেয়ে বড় জয় – নিউজিল্যান্ড ২৯০ রানে (প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড)
  • বলের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয় ইংলিশদের। ২৭৭ বল বাকি থাকতে (প্রতিপক্ষ কানাডা)
  • উইকেটের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয় ১০ উইকেটের যা ৫৫ বার ঘটেছে একদিনের ম্যাচে।
  • দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ইংল্যান্ড ৪৮১/৬ (প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)
  • দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর (২য় ইনিংস) দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩৮/৯ (প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)।

  • ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ডটি ভারতের দখলে। ১৯৮৭ সালের ২২শে মার্চ শারজাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১২৫ রান করেও মাত্র ৮৭ রানেই পাকিস্তানকে অলআউট করে ৩৮ রানের জয় পায় ভারত।
  • ওয়ানডেতে টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি অজিদের দখলে। ২০০৩ সালে টানা ২৫ ওয়ানডেতে জয় পায় অজিরা।
  • টানা হারের লজ্জার রেকর্ডটি অবশ্য বাংলাদেশের! ১৯৯৯ সালে ঢাকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০২ সালে কিম্বারলিতে হারের মধ্যে দিয়ে টানা ২৩ ম্যাচে জয়হীন ছিলো বাংলাদেশ দল।
  • ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ১২ই মার্চ ২০০৬, জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রান ১ বল ও ১ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় প্রোটিয়ারা।
  • সবচেয়ে কম রানের জয় অবশ্য মাত্র ১ রানের যা ওয়ানডেতে ঘটেছে ৩১ ম্যাচে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ ম্যাচে ১ রানের জয় পায় অজিরা। ওয়ানডেতে রান তাড়া করতে নেমে শেষ বলে দল জয় পেয়েছে ৩৬ ম্যাচে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাত বার শেষ বলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট জয় ১ উইকেটের, যা ওয়ানডেতে ঘটেছে ৫৫ বার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড দুই দলই ১ উইকেটে জিতেছে ৮ বার করে)।
  • জয়ের পার্সেন্টেজের উপর ভিত্তি করে ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দল দক্ষিণ আফ্রিকা (এশিয়া একাদশ ছাড়া)। ২০১৭ সালে জয়ের হারে (%) অস্ট্রেলিয়াকে টপকে শীর্ষস্থান দখলে নেয় প্রোটিয়ারা। সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান জয়ের হার ৬৩.৯২%।
  • ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ানডেতেই জয় না পাওয়া দল হলো উত্তর আফ্রিকা। মাত্র ৩ ওয়ানডে খেলে জয় পায়নি একটিতেও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...