বগুড়ার পিচকে বলা হয় বাংলাদেশের একমাত্র বাউন্সি উইকেট। অনেক বছর অবহেলিত থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে কেন্দ্র করে আবারো ক্রিকেটীয় মিলনমেলার শুরু হয় বগুড়ায়। এবারের জাতীয় লীগেও অন্যতম ভেন্যু বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। একে তো বগুড়ার বাউন্সি পিচ, তার উপর নতুন সংযোজন ডিউক বল। পেসারদের ঈদের দিন।
ডিউক বলে সেই সাথে বগুড়ার বাউন্সি পিচ। এই দুয়ের মিশেলে যেন আগুন ঝরালেন পেসাররা। টায়ার-১ এর চতুর্থ ম্যাচের প্রথম দিনে রংপুর টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে সোহেল খানের তোপের মুখে পড়ে ঢাকার ব্যাটাররা। শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। এরপর একে একে তুলে নেন আব্দুল মজিদ, উইকেট কিপার অংকন, রাকিবুল হাসান ও নাজমুল অপুর উইকেট।
অপর দিকে জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার আরিফুল হকও বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন তিন উইকেট। এই দুয়ের গতির ঝড়ে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয় ঢাকা বিভাগ। অধিনায়ক তাইবুর রহমানের ১৫ ও শুভাগত হোমের ২৮ বাদে ঢাকার কেউ দুই অংকের স্কোর পার করতে পারেনি। সোহেল রানা মাত্র ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন।
বোলারদের দুর্দান্ত সূচনা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি রংপুরের। ব্যাট করতে নামা রংপুর বিভাগের ব্যাটাররা সালাউদ্দিন ও সুমন খানের বোলিং ঝড়ে মাত্র ৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। শুরুতেই পেসার সালাউদ্দিন দুই ওপেনার মাইশুকুর রহমান ও আলাউদ্দিন মামুনের সাথে তানভীরকে তুলে নিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর।
এরপরই শুরু হয় সুমন খান শো। একে একে তুলে নেন নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, আরিফুল হক ও মুশফিকের উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অলআউট হয় রংপুর বিভাগ। সুমন খান ৩৩ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। এরপর ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে ৮৮ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে। দুই ওপেনার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আব্দুল মজিদ ৪৫ বলে ৩৩ ও অংকন ৫১ বলে ৫৪ করে অপরাজিত আছেন।
পেস সহায়ক কন্ডিশনে বাংলাদেশ ব্যাটারদের দূর্বলতা যেন এবারের এনসিএলে প্রধান প্রাপ্তি। ব্যাটারদের নিজেদের দূর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি আরও সমৃদ্ধ হবার সুযোগও বলা চলে এবারের এনসিএল। তাছাড়া পেসারদের উইকেট খরা কাটানো সেই সাথে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার দারুণ এক মঞ্চ।