গতি, সুইং, আগ্রাসন- সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে নিঃসন্দেহে ভারতের সেরা পেসারের নাম, জাসপ্রিত বুমরাহ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তাঁকে বিশ্বসেরাদের কাতারে ফেললেও অবশ্য ভুল হয় না। এরই মধ্যেই নামের পাশে যোগ করেছেন ৩১৯ টি আন্তর্জাতিক উইকেট।
কিন্তু গত বছর এক বছর ধরেই জাতীয় দল বেশ অনিয়মিত বুমরাহ। ইনজুরির কারণে তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে সিংহভাগ সময়েই। বুমরাহর অনুপস্থিতিতে তাই টিম ম্যানেজমেন্টেরও বিকল্প পেসার খোঁজা লাগে। এই যাত্রায় আবার ব্রাত্য হয়ে থাকেন দেশের অনেক পেসার। যারা অনায়াসেই বুমরাহ’র জায়গায় খেলতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সব পেসারদের।
- উমরান মালিক
গতি কিংবা আগ্রাসনে, কোনো অংশেই জাসপ্রিত বুমরাহ’র চেয়ে পিছিয়ে নেই উমরান মালিক। বরং বোলিং গতিতে উমরান এগিয়েই থাকবেন। এই অতি সাম্প্রতিক সময়েই তিনি ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ গতিতে বল করার রেকর্ড গড়েছেন।
ভারতের হয়ে সুযোগও মিলেছে কাশ্মীরের এই পেসারের। কিন্তু বুমরাহ’র অনুপস্থিতিতে ঠিক ততটা কাজে লাগানো হয়নি উমরানকে। অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি। অথচ, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ভারতের দলে দারুণ এক সংযোজন হতে পারতেন উমরান মালিক।
- থাঙ্গারাসু নটরাজন
টি নটরঞ্জন নামেই তিনি বেশি পরিচিত। ভারতের হয়ে ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালই করেছিলেন এ বাঁহাতি পেসার। কিন্তু ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় এক ইনজুরিতে ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ে তাঁর। এরপর আর দলে ফিরতে পারেননি। অথচ, ভারত বিগত বছর গুলোতে সবচাইতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে পেস বোলিং ইউনিটেই। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় ব্রাত্য হয়েই ছিলেন নটরঞ্জন।
- নভদ্বীপ সাইনি
বিরাট কোহলি অধিনায়ক থাকাকালীন দলে এসেছিলেন সাইনি। ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত খেলে গিয়েছেন। কিন্তু অধিনায়ক বিরাটের পদত্যাগের পর দল থেকে বাদ পড়তে হয় সাইনিকেও। ২০২১ সালের পর আর ডাক আসেনি এ পেসারের। অথচ বুমরাহ’র অনুপস্থিতিতে একটা সুযোগ পেতেই পারতেন সাইনি।
- উমেশ যাদব
ভারতীয় দলে কেন তিনি নিয়মিত নন, এ নিয়ে তৎকালীন বোলিং কোচ ভরত অরুণকে প্রকাশ্যে হতাশা জানিয়েছিলেন উমেশ যাদব নিজেই। যদিও ভারতের লাল বলের ক্রিকেটে নিজের জায়গা ধরে রেখেছন। কিন্তু একাদশে সুযোগ পান কম ম্যাচেই। আর বাকি দুই ফরম্যাটে তো স্কোয়াডেই জায়গা মেলে না। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞ এবং পরীক্ষিত এ পেসার দিনশেষে নির্বাচকদের ভাবনার আড়ালেই থেকে গিয়েছেন।