বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন আসর শুরু হতে এখনও প্রায় মাসখানেক সময় বাকি। এর আগেই ফিক্সিং আতঙ্ক দানা বেঁধে উঠলো। বিপিএলের অষ্টম আসরের আগে এরই মধ্যে এক স্বনামধন্য ক্রিকেটারের কাছে এসেছে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব। তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শীর্ষস্থানীয় একটা ক্লাবে খেলেন বলে জানা গেছে।
প্রস্তাব পাওয়া ওই ক্রিকেটার বিষয়টা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানিয়েছেন। তিন ভেন্যুতে ছয় দলের বিপিএল শেষ হবে আসছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
শীর্ষ স্থানীয় এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনই কোনো কিছু খোলাসা করতে পারছি না। কোনো ক্রিকেটার অ্যান্ডি করাপশন ইউনিটকে কিছু জানিয়েছে কি না, সেটাও পরিস্কার বলে কঠিন। তবে, এই ব্যাপারে কিছু যদি জানতে পেরে থাকি আমরা তাহলে ইউনিট এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।’
ঘটনাটা আতঙ্কের অবশ্যই। তবে, বিপিএল শুরুর আগেই ‘প্রস্তাব পেয়েই সেটা জানানো’কে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে বিসিবি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিসিবি থেকৈ সব খেলোয়াড়ের প্রতিই নির্দেশনা থাকে যে, এরকম কিছু ঘটলেই যেন সাথে সাথে আমাদের জানায়।’
২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, মিরপুরে গ্রেফতার করা হয় সাজিদ খান নামের এক পাকিস্তানি নাগরিককে। তিনি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ‘প্লেয়ার্স জোন’-এ ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানায় বিসিবির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকারা। সেই ব্যক্তির ফোনে চিটাগং কিংসে ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের একজন করে ক্রিকেটারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাওয়া যায়।
পরের বছরের জানুয়ারিতে বিসিবি শরনাপন্ন হয় আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় নাগরিক দূর্গা প্রসাদকে মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি নিজেকে একজন বুকি বলে স্বীকার করেন।
মাসদুয়েক বাদেই সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট আকসুর কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করেন। তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। পরে সাজা কমে নেমে আসে পাঁচ বছরে। সেবার আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন ঢাকায় বসে সাজাপ্রাপ্ত আরো নয়জনের নাম ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’ সাকিব আল হাসান জুয়ারির প্রস্তাব আইসিসিকে জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় এক বছরের স্থগিতাদেশ-সহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন।