বিপিএলে ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তিন ক্রিকেটার

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন আসর। ইতোমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে একাধিক বিদেশী ক্রিকেটার। বিশেষ করে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সাথে চুক্তিতে ইতোমধ্যেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিপিএল। এছাড়া প্রতিটি দলই একজন করে লোকাল ক্রিকেটারের সাথে ডিরেক্ট সাইনিং করেছে।

দেশের ক্রিকেটের সাত তারকা ইতোমধ্যেই নিজেদের দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। তবুও এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ফর্মে থাকা লিটন দাসের সাথে চুক্তি করেনি কোন দল। তিনি রয়ে গিয়েছেন প্লেয়ার্স ড্রাফটের জন্য। এছাড়া দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও সরাসরি দলে ভেড়াতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি।

তবে এই তিন ক্রিকেটারকেই রাখা হয়েছে বিপিএল ড্রাফটের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। এবারের বিপিএলের ড্রাফটে রাখা হয়েছে মোট ২১৭ দেশী ক্রিকেটারকে। তাঁর মধ্যে লিটন, মুশফিক ও রিয়াদই আছেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

ওদিকে ড্রাফটের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে মোট সাত ক্রিকেটারকে। এই ক্যাটগরিতে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইমরুল কায়েস, শেখ মেহেদী ও নাসুম আহমেদ।

এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে খেলা নাঈম শেখ, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, এবাদত হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বিরা আছেন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। তাঁদের সাথে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকেরও জায়গা হয়েছে এই ক্যাটাগরিতে। ওদিকে গতবার ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারও আছেন একই ক্যাটাগরিতে।

ওদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে একবার ডাক পেয়েও বাদ পড়েছিলেন সাব্বির রহমান। এরপর আবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও দল পাননি তিনি। তবে বিপিএলের ড্রাফটে ঠিকই ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সাব্বির।

গতবার বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছিলেন পেস বোলিং অলরান্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এই পেসার এবার ড্রাফটে জায়গা পেয়েছেন ডি ক্যাটাগরিতে। তাঁকে দলে ভেড়ানোর জন্য নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকবে দলগুলো। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়, তানজিদ হাসান তামিমরাও একই ক্যাটাগরিতে আছেন। নাসির হোসেনকে রাখা হয়েছে এখানেই।

এবারের এনসিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন পেসার সুমন খান। তিনি আছেন বিপিএল ড্রাফটের ‘ই’ ক্যাটাগরিতে। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম তারকা মোহাম্মদ আশরাফুলও আছেন ‘ই’ ক্যাটাগরিতেই। জাতীয় দলের হয়ে খেলা লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকেও রাখা হয়েছে এই ক্যাটাগরিতে। আরেক লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনও আছেন এখানেই।

এবারের এনসিএলে নজর কাড়া আরেক পেসার মুশফিক হাসান। তিনিও ড্রাফটে আছেন ‘ই’ ক্যাটাগরিতে। রিপন মন্ডল, কাজী অনিক, মেহেদী মারুফ, মিজানুর রহমান, আশিকুজ্জামানরাও আছেন একই ক্যাটাগরিতে।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলে হয়ে খেলা সম্ভাবনাময় ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দীপু। গতবছর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও দারুণ পারফর্ম করেছেন। তবে এই ব্যাটারকে রাখা হয়েছে ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে। আইচ মোল্লা, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদিরাও আছেন একই ক্যাটাগরিতে।

এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ডাবল সেঞ্চুরি করা আবদুল্লাহ আল মামুন আছেন সর্বশেষ ‘জি’ ক্যাটাগরিতে। পেসার শুভাশিস রায়কেও রাখা হয়েছে এই ক্যাটাগরিতে। সব মিলিয়ে ড্রাফটের সাত ক্যাটাগরিতে আছেন মোট ২১৭ লোকাল ক্রিকেটার।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link