আট গোলের ম্যাচে ব্রিটিশ শ্রেষ্ঠত্ব

ইংল্যান্ড একমাত্র ইউরোপিয়ান দল যারা গত দুই বিশ্বকাপ আসরেই সেমিফাইনালেই উঠেছে। আর  শক্তি কিংবা বিশ্বমঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা, দুটোতেই এগিয়ে ছিল হ্যারি কেইনের দল।

ইংল্যান্ড একমাত্র ইউরোপিয়ান দল যারা গত দুই বিশ্বকাপ আসরেই সেমিফাইনালেই উঠেছে। আর  শক্তি কিংবা বিশ্বমঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা, দুটোতেই এগিয়ে ছিল হ্যারি কেইনের দল।

আর ইরানের বিরুদ্ধে মাঠের খেলাতেও সেটাই যেন প্রমাণ হল। ইংল্যান্ডের সামনে বড় ব্যবধানেই হারল এশিয়ান শক্তি ইরান। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গোল বন্যার ম্যাচে হারল ৬-২ গোলের বড় ব্যবধানে। আর এই ম্যাচ দিয়েই যেন ইউরোপ আর এশিয়ার ফুটবলের পার্থক্যটা আবারও টের পাওয়া গেল।

শুরুতে অবশ্য ইংল্যান্ডের সাথে ভালই পাল্লা দিচ্ছিল ইরান। মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল ১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে, একবার নিজেদের ফিরে পাওয়ার পরই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড।

৩৫ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। দুরন্ত হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বিশ্বকাপ আসরে তো বটেই, ইংল্যান্ডের জার্সি গায়েও এটা তাঁর প্রথম গোল। এই শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন বেলিংহ্যাম।

মিনিট সাতেক বাঁদে আবারও লক্ষ্যভেদ করে ইংল্যান্ড। তরুণ বুকায়ো সাকার গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করল ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং।

ইংল্যান্ডের এই গোলের ধারা অব্যাহত থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। বুকায়ো সাকা ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। মিনিট তিনেক বাদে মেহদি তারেমির গোলে ব্যবধান কমায় ইরান। তখনও ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ম্যাচের লাগাম কখনও নিজেদের হাতে নিতেই পারেনি ইরান।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন। মাঠে বদলি হিসাবে এসেই এক মিনিটের মধ্যেই গোল করেন মার্কাস রাশফোর্ড।

এখানেই শেষ নয়। ইরানের বিরুদ্ধে হাফ ডজন গোল পূর্ণ করে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে ষষ্ঠ গোল করেন জ্যাক গ্রিলিশ। ইনজুরি সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় ইরান। সেখান থেকে ভুল করেননি তারেমি। ইরান ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তারেমি।

বিরাট একটা ম্যাচ। প্রথম অর্ধে ইনজুটি টাইম ছিল ১৪ মিনিটের। আরও বেশিও হতে পারত, কারণ ইরানের গোলরক্ষকের ইনজুরিতে মাঠ ছাড়তে অনেক সময় নেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি টাইম ছিল ১২ মিনিট। ম্যাচ যত লম্বা, গোলও যেন ততই বেশি। আর সেখানে শেষ হাসি ইংল্যান্ডের।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...