ব্রাজিল মানেই ফুটবল মাঠে রাজকীয় দাপট, ব্রাজিল মানেই ফুটবলের অনন্য এক ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু এসব কিছুই এখন ম্লান হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিনিয়ত হতাশ করে চলছে তাঁরা। ব্যতিক্রম হয়নি চলতি কোপা আমেরিকাতেও, গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ খেলে মোটে পাঁচ পয়েন্ট পেয়েছে দলটি।
রানার আপ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠায় শক্তিশালী উরুগুয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ব্রাজিলকে। নেইমার জুনিয়র তো আগে থেকেই নেই, দুই হলুদ কার্ডের কারণে নিষেধাজ্ঞায় আছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়রও; দলের ছন্দহীন অবস্থায় বড় দুই তারকার অনুপস্থিতিতে উরুগুয়ের মত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে ভেবেই নিশ্চয়ই শঙ্কিত হচ্ছেন সমর্থেকরা।
শঙ্কার যৌক্তিক কারণও আছে বৈকি, ব্রাজিল যেখানে পাঁচ পয়েন্ট পেয়েছে, ফেদে ভালভার্দের দল সেখানে নয় পয়েন্টের সবটুকু ঝুলিতে পুরেছেন। মাঠের পারফরম্যান্সেও খুনে মেজাজ ফুটে উঠেছে তাঁদের।
সেলেসাওদের সবচেয়ে বড় সমস্যা টিম কম্বিনেশন, এখনো খেলোয়াড়দের মাঝে বোঝাপড়া জমে ওঠেনি। তাছাড়া মিডফিল্ডে ভরসা করার মত কেউ নেই বললেই চলে; অথচ উরুগুয়ে ঠিক উল্টো, তারুণ্যে ভরপুর দলটির খেলায় ঐক্য রয়েছে। আর অধিনায়ক ভালভার্দে একাই তো পুরো মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন।
সবমিলিয়ে ব্রাজিলকে তাই সেমিফাইনালে যেতে হলে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেবল কঠিন নয়, অগ্নি পরীক্ষা দিতে হবে বলা যায়। কোচ ডরিভাল জুনিয়ের জন্যও এটা প্রমাণের বড় মঞ্চ। তাই কিছুটা হলেও চাপে থাকবেন তিনি। একাদশ নির্বাচন থেকে শুরু করে পরিকল্পনা সাজানো সবকিছুতেই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে তাঁকে।
তবু ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভরপুর সেলেসাওরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। নেইমার, ভিনি না থাকলেও পাকুয়েতা, রাফিনহা কিংবা তরুণ এন্ড্রিক ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন। এদের কারোই সামর্থ্যের অভাব নেই, স্রেফ সামর্থ্য মাঠে দেখানোর পালা।