ট্রলের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ব্রাইটন ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে হেরেছে দলটি। জম্পেশ লড়াইয়ের ম্যাচ রেড ডেভিলদের বিষাদের কারণ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই নড়বড়ে করে দিয়েছে তাদের আত্মবিশ্বাস।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ড্যানি ওয়েলব্যাকের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাইটন। এরপর অবশ্য ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে অফ সাইড বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। মার্কাস রাশফোর্ডের গোল বাতিল হয়ে যায়। বল জালে জড়িয়ে উদযাপন শুরুর মুহূর্তেই থেমে যায় রেড ডেভিলরা।
এরপর অবশ্য ব্রাইটন নিজেদের আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয়। একের পর এক আক্রমণ নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রক্ষণের দিকে। জেমস মিলনারের গোল অভিমুখে বাড়িয়ে দেওয়া বল প্রায় জালে জড়িয়ে যাচ্ছিল। তবে ডিয়েগো ডালোট তা হতে দেননি শেষ পর্যন্ত। নতুবা প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যেত ব্রাইটনের পক্ষে।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। আমাদ ডিয়ালো দলকে একটু স্বস্তি এনে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রেড ডেভিলদের রক্ষণ দুর্বলতা সে স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেয়নি। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে, গোটা রক্ষণ বিভাগের গড়মিলের কারণে গোল করে বসেন ব্রাইটনের জোয়াও পেড্রো। ব্যাস ২-১ গোলের পরাজয় ব্রুনো ফার্নান্দেজদের সঙ্গী হয়।
এই দশা অবশ্য নতুন নয়। শেষ ছয় দেখার পাঁচটি ম্যাচই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেরেছে ব্রাইটনের কাছে। প্রিমিয়ার লিগে প্রতিবারই মাত দিয়েছে। গেল আসরের শেষ ম্যাচটা কেবল জিততে পেরেছিল রেড ডেভিলরা। তাদের হয়ে দুইটি গোল করেছিলেন ডিয়েগো ডালোট ও রাসমস হয়লুন।
এর আগে টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাইটন। ২০২২ সালে ইউনাইটেডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। ব্রাইটনের ঘরের মাঠে নাস্তানাবুদ করেছিল ম্যান ইউকে। এমন কি নিজেদের ঘরের মাঠেও পরাজয়ের স্বাদ বরণ করতে হয়েছে রেড ডেভিলদের। ২০২৩ সালে ৩-১ ব্যবধানে তাদের হারিয়েছিল ব্রাইটন।
ব্রাইটনের কাছে এমন লাগাতার পরাজয়ের কারণেই ট্রলের শিকার হতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা যেখানে তুলো-ধুনো করছে প্রতিপক্ষকে, সেখানে ইউনাইটেড খাবি খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ইংল্যান্ডের এক সময়ের সেরা ক্লাবটি ক্রমশ নিজেদের জৌলুশ হারিয়ে ফেলছে। তাইতো সমর্থকরা হতাশ। ক্ষোভ থেকেই খেলোয়াড়দের নিয়ে ট্রল করে যাচ্ছেন তারাও। এই দশার মুক্তি কি সহসাই মিলবে রেড ডেভিলদের?