১৭ই আগস্ট, প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে গোলের খাতা খুলেছিলেন বুকায়ো সাকা। এরপর কেটে গেল অনেকদিন, দুইবার বদলে গেল ক্যালেন্ডারের পাতা। কিন্তু আর গোলের দেখা পাননি তিনি, অ্যাসিস্ট করে গিয়েছেন একের পর একটা কিন্তু নিজে জালের ঠিকানা ভুলে গিয়েছিলেন বোধহয়। তবে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁর গোল খরার অবসান ঘটলো, লিগে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নিলেন।
পুরো ম্যাচ জুড়েই গোলের নেশায় ছুটেছিলেন সাকা। সাত বার গোলমুখে শট নিয়েছেন তিনি; চারবার অবশ্য ব্লক করতে পেরেছেন ডিফেন্ডার আর দুইবার সেভ দিয়েছেন গোলরক্ষক। তবে ৮৮ মিনিটের সময় নেয়া শটটাই আশ্রয় নিয়েছেন গোলপোস্টে।
অ্যাসিস্ট করতে অবশ্য এদিনও আলসেমি করেননি ইংলিশম্যান। কাই হাভার্টজকে দিয়ে শুরু, রাইট উইংয়ে বল কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি, এরপর সামনের দিকে বাড়ান সতীর্থের উদ্দেশ্যে। বাকি কাজটুকু হাভার্টজ করেছেন একক প্রচেষ্টাতেই, এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা সাত গোল করলেন জার্মান স্ট্রাইকার।
মিনিট দশেক পরে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, এবারও পর্দার পেছনের কারিগর সাকা। বাইলাইন দিয়ে এগিয়ে কাটব্যাক করে চলে আসেন ডি বক্সের কাছাকাছি। সেখান থেকে ফার পোস্টে ক্রস আর ব্রাজিলিয়ান তারকা পায়ের টোকায় বল পাঠিয়ে দেন জালে।
তবে এতকিছু ঘটার আগে ঝামেলাতেই পড়তে হয়েছিল আর্সেনালকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধ কাটানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা করেছিল গোল হজম করে৷ ম্যাথুস ফার্নান্দেজ প্রথমবারের মত প্রিমিয়ার লিগে অ্যাসিস্ট করেন এবং তাঁর অ্যাসিস্ট থেকে সাউদাম্পটনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ক্যামেরন আর্চার।
যদিও গানার্স শিবিরে একজন ব্ল্যাক ডায়মন্ড ছিলেন বলে লাভ হয়নি। এক গোল আর দুই অ্যাসিস্টে তিনি নিজেই লিখে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। এছাড়া তাঁর পায়ের জাদুতে তৈরি হয়েছে গোলের সাতটি সুযোগ, আটবার বল রিকোভারিও করেছেন! তবে এত এত সংখ্যাও এই তরুণের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স পুরোপুরি ফুটিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট নয়।