পুরো পৃথিবীর জন্যই ২০২০ সাল যেনো এক অভিশাপের মত ছিল।
ক্রিকেট ভক্তদের জন্যও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিল না গতবছর। করোনার ছোবলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই সব ধরনের ক্রিকেটই ছিল বন্ধ। ফলে গতবছরের অনেক ক্রিকেট ম্যাচই শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি। যদিও এবছর সেইসব খেলাগুলো আয়োজনের চেষ্টা করছে ক্রিকেট বোর্ড গুলো। ফলে এই বছর অনেক বেশি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। অনেকে রোটেশন পলিসিরও আশ্রয় নিয়েছে। তবুও কিছু ক্রিকেটারকে পার করতে হচ্ছে ব্যস্ত সময়। সবমিলিয়ে এই বছরের ব্যস্ততম ক্রিকেটারদের নিয়ে এই তালিকা।
- বিরাট কোহলি (ভারত)
সবমিলিয়ে বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ক্রিকেটারদের একজন বিরাট কোহলি। ভারতের এই অধিনায়ন তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত পারফর্মার। এছাড়া আইপিএলেও ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাঁকে। এছাড়া সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে অনেক গুলো ম্যাচ খেলতে হবে তাঁকে। সবমিলিয়ে এবছর তাঁর ৩১ টা ম্যাচ খেলার কথা।
- ঋষাভ পান্ত (ভারত)
কোহলির দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানও আছেন আমাদের তালিকায়। এই ব্যাটসম্যানের ম্যাচ খেলার কথা কোহলির চেয়েও বেশি। কেননা বছরের শুরুতে ঋষাভ পান্ত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিও খেলেছেন। ফলে এই বছর সব ঠিক থাকলে ৩২ টি ম্যাচ খেলবেন এই ক্রিকেটার।
- রোহিত শর্মা (ভারত)
ভারতের ব্যস্ত সময়ে দলটির সব ক্রিকেটারকেও পাড় করতে হচ্ছে ব্যস্ত সময়। ফলে কোহলি, ঋষাভ পান্তদের মত রোহিতকেও এইবছর খেলতে হবে টানা অনেকগুলো ম্যাচ। আইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বিশ্বকাপ সবমিলিয়ে তিনিও এই বছর খেলবেন মোট ৩৩ টি ম্যাচ।
- ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার এই লেগ স্পিনার তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৯ সালে। তবুও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কারণে। বছরের শুরুতেই বিগ ব্যাশে খেলেছেন তিনি। এছাড়া পাকিস্তান সুপার লিগ ও ক্যারিবিয়ান লিগেও দেখা যাবে তাঁকে। সবমিলিইয়ে এই বছর তাঁর খেলার কথা ৩৭ টি ম্যাচ।
- রশিদ খান (আফগানিস্তনা)
আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার যেনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হট কেক। আফগানিস্তানের হয়ে এই বছর বেশ কিছু ম্যাচে মাঠে নামবেন তিনি। এছাড়া বিগ ব্যাশ, আইপিএল, পিএসএল ও সিপিএলে ব্যস্ত সময় পাড় করবেন তিনি। সবমিলিয়ে তিনি খেলবেন ৫৫ টি ম্যাচ।
- ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
এই বছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার। তাই বলে ব্যস্ততা মোটেও কমেনি তাঁর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া নানা দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়াবেন এই ক্রিকেটার। সবমিলিয়ে ২০২১ সালে তিনি খেলছেন মোট ৫৬ টি ম্যাচ।
- আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা সবসময়ই ব্যস্ত সময় পার করেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে। এবছরও তাঁর ব্যতিক্রম কিছু হবেনা। আইপিএলে কলকাতার হয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছেন রাসেল। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও মেরুণ জার্সিতে দেখা যাবে তাঁকে। এছাড়া আরো অন্যান্য লিগ মিলে এইবছর মোট ৬০ টি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
- কাইরন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজে)
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আরেক তারকা কাইরন পোলার্ড। জাতীয় দলের হয়েও টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো খেলতে দেখা যায় তাঁকে। এবারের বিশ্বকাপেও খেলবেন মেরুণ জার্সি গাঁয়ে। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততা তো আছেই। সবমিলিয়ে এইবছর খেলবেন মোট ৬০ টি ম্যাচ।
- ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
এই তালিকায় অনেকটা অপ্রত্যাশিত নাম ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। তবে ওয়স্ট-ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাদেও নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন এই ক্রিকেটার। এইবছর তাঁর আইপিএলের বাকি অংশ, পিএসএল ও সিপিএল খেলার কথা। সবমিলিয়ে ২০২১ সালে তাঁর মোট ম্যাচ সংখ্যা ৬১ টি।
- জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
এই তালিকার শীর্ষে কোনো ক্যারিবীয় তারকা থাকবেন সেটাই হওয়ার কথা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিক্রেটও খেলছেন নিয়মিত। এছাড়া তিন ফরম্যাটেই এই ক্রিকেটার সমান কার্যকর। ওদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলোরও নিয়মিত মুখ এই অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে এই বছর তিনি ম্যাচ খেলছেন মোট ৬২ টি।