You either die as a hero or live long enough to be the villain – সাকিব আল হাসানও ভুল পথে এক পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তবে সেই ভুল দীর্ঘস্থায়ী করেননি। সহজ, সুন্দর ভাষায় অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন ইতি টানার বার্তা। বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, ‘জানতে হয় কখন থামতে হয়’ এর গুরত্ব। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার তো শেষই, টেস্টের জার্সিটাও তিনি তুলে রাখবেন আগামী মাসে।
সতীর্থদের কেউই বোধহয় অবসর প্রসঙ্গে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মত সাহসী নন। মাশরাফি মর্তুজা দলের বাইরে এতদিন তবু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অফ ফর্ম সঙ্গী করেই দীর্ঘায়িত করছেন ক্যারিয়ার। সে তুলনায় তিনি অনন্য বটে, সমালোচনার স্রোত তীব্র হওয়ার আগেই জাহাজ তীরে ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
যেদিন নিজেকে চালক নয় বরং প্যাসেঞ্জার মনে হবে সেদিন থেকে আর খেলব না – টাইগার তারকা নিজের কথা রেখেছেন। তবে ওয়ানডে সংস্করণের ব্যাপারে কিছু জানাননি; হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই চোখ রেখেছেন ‘গুড বাই’ বলার জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার সংস্কৃতি নেই বললেই চলে। সবশেষ খালেদ মাহমুদ সুজন পেরেছিলেন এই সৎ-সাহসটুকু দেখাতে। হাবিবুল বাশার সুমনের সুযোগ ছিল বটে, কিন্তু তিনিও সুযোগ নষ্ট করেছেন। মোহাম্মদ রফিক অবশ্য সাদা পোশাক থেকে অবসর নিয়েছিলেন মাঠ থেকেই, একই কাজ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
এছাড়া মাশরাফি মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন আগে ঘোষণা দিয়েই। এবার সাকিবও অন্তত এক ফরম্যাটে বিদায়ী গার্ড অব অনার পাবেন, সবকিছু ঠিক থাকলে মিরপুরেই দেখা যাবে সেই দৃশ্য। তবে তিন ফরম্যাট বিবেচনায় সুজনের পর কেউই আসেননি এমন।
মাগুরার বিস্ময় বালক কি সুজনের দেখানো পথে হাঁটবেন? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই যদি অবসর নেন তিনি কিংবা যেকোনো ওয়ানডে ম্যাচের আগে ঘোষণা দেন বিদায়ের তবে দারুণ একটা সংস্কৃতির নবপরিচয় ঘটবে বাংলাদেশের সঙ্গে – দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া, ভিনদেশী ক্রিকেটারদের এমন দৃশ্য কতবারই দেখেছি; আগামী দিনে কি তবে লাল-সবুজ বরপুত্রের পালা?