কোপা আমেরিকার সাবেক চ্যাম্পিয়নদের বাড়ি পাঠালো কানাডা। সেই সাথে নিজেদের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তাঁরা। চলতি আসরে দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিতে সক্ষম হয়েছে ২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলি। তাই পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না তাঁদের।
চলতি আসরে দুই ম্যাচে একটি গোলও করতে পারেননি অ্যালেক্সিস সানচেজরা। এমনকি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ হারের ম্যাচে ৭২ মিনিটে গিয়ে প্রথম শট নিতে সক্ষম হয় তাঁরা। অপরদিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হেরে নিজেদের কোপা মিশন শুরু করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করে কানাডা।
তাই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। তবে ম্যাচের শুরু আশানুরূপ করতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের ২৭ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল সুয়াজোকে লাল কার্ড দেখালে বাড়তি সুবিধা পায় কানাডা। তবে ১০ জনের চিলির বিপক্ষে ৬ টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তাঁরা।
৩৭ মিনিটে মারসেলিনো নুনেজের বক্সের বাহিরে থেকে ডান পায়ের শটটি রুখে দেয়া হলে পাল্টা আক্রমণ করেন জনাথন ডেভিড। তবে চিলির গোলরক্ষকের সাথে তাঁর সংঘর্ষ হওয়ায় বল চলে যায় মাঠের বাহিরে। কানাডা পেনাল্টি কিকের জন্য তর্ক করলেও তা নাকচ করে দেন রেফারি।
প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে দুই দল। তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকলেও জালে বল ঢুকাতে ব্যর্থ হয় তাঁরা। ৫৪ মিনিটে সানচেজের পাস থেকে হেডে গোল করতে ব্যর্থ হয় রদ্রিগো। গোলের দেখা না পেয়ে যেন শারীরিকভাবেও আক্রমণাত্মক হতে থাকে দুই দল।
তবে চিলির থেকে কানাডার খেলোয়াড়েরাই যেন শারিরীক আগ্রাসন বেশি দেখায় ম্যাচে। ম্যাচে মোট ১৫ বার ফাউলের শিকার হয় চিলির খেলোয়াড়রা। কানাডার খেলোয়াড়দের ৪ টি হলুদ কার্ডও দেখায় রেফারি৷
তবে এতো কিছুর পরও গোল করতে ব্যার্থ হয় তাঁরা। অপরদিকে চিলিও প্রতিপক্ষের জালে বল ঢুকাতে না পারলে গোলশূন্য ড্র দিয়েই শেষ হয় ম্যাচ। ফলে ৩ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে কোপা আমেরিকার এবারের আসর থেকে বিদায় নিতে হয় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। অপরদিকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে যায় প্রথমবারের মতো খেলতে আসা কানাডা।