পুরানের ব্যাটে ক্যারিবীয় হুঙ্কার

একের পর এক নান্দনিক শট আর বোলারদের দিশেহারা অবস্থা। ২২ গজে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান মাঠের চিত্র এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। গ্রুপ পর্বে  নিজেদের শেষ ম্যাচে পুরান আবারো যেন শোনালেন ক্যারিবিয়ান হুঙ্কার।

দলীয় ২২ রানেই ক্যারিবীয় ব্যাটার ব্র্যান্ডন কিং ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তাঁর পরেই শুরু হয় পুরানের অধ্যায়। আরেক ওপেনার জনসন চার্লসকে অপর প্রান্তে রেখে একাই খেলতে থাকেন বাহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের চতুর্থ ওভার থেকে আদায় করেন ৩৬ রান। আর সেই ওভারেই খেই হারায় আফগান বোলার আজমউল্লাহ ওমরজাই। নো-ওয়াইড আর চার-ছক্কায় একাকার হয়ে যায় তাঁর সেই ওভার।

চার্লস জনসন আর নিকোলাস পুরান মিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান আদায় করেন। ৬ ওভার শেষে তাঁদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯২ রান। ক্রিজের অপর প্রান্তে একে একে চার্লস, শাই হোপের প্রস্থাণ ঘটলেও আরেক প্রান্ত যেন পাওয়ার হিটার পুরানের জন্যই বরাদ্দ ছিল। ৮০ রানের এক মারমুখী জুটি গড়েন চার্লস এবং পুরান।

হোপের ব্যাটিং চলাকালীন কিছুটা নীরব ছিল পুরানের ব্যাট। তবে  মাত্র ৩১ বলে পুরান পূরণ করন তাঁর অর্ধশতক। আফগান বোলার গুলবাদিন নায়েবের বলে অবশ্য একবার জীবন ফিরে পান তিনি। এর তাতেই যেন পুরানের ব্যাট আবারো সচল হতে শুরু করে।  তবে রান করার গতি কিছুটা ধীর হয়ে যায় তখন। সতেরোতম ওভারে তো  নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন রশিদ খানকে। একাই সেই ওভার থেকে নিলেন ২৪ রান!

তাঁর সেই ইনিংস জুড়ে ছিল নান্দনিক কিছু চার-ছক্কার মার। ৬ টি চার এবং ৮ টি ছক্কার মারে পুরান তাঁর ইনিংস সাজান। যেখানে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫ এর ঘরে। এর ৫৩ বলে ৯৮ রানে সেই ওমরজাইয়ের সরাসরি থ্রোতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। শতকের অপূর্ণতা রয়ে গেল তাঁর।

পুরানের এই ইনিংসের কল্যাণেই আফগানিস্তানকে ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিকরা। সুপার এইটে যাওয়ার আগে পুরানের ব্যাট যেন ছড়িয়েছে আশার আলো। তাইতো ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটারের কাছে পরবর্তী রাউন্ডেও বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে ক্রিকেট ভক্তদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link