ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দুয়ারে আনচেলত্তি

এবারের মৌসুমে সময়টা মোটেই ভালো কাটছে না রিয়াল মাদ্রিদের। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও এবারের পথটা বন্ধুরই মনে হচ্ছে। তাছাড়া জিনেদিন জিদানের রিয়ালে ফেরার গুঞ্জনও জোরালো হচ্ছে ক্রমশই। সে কারণেই কিনা নিজের ভবিষ্যৎ চাকরির ব্যাপারে খোঁজ রাখছেন এই ইতালিয়ান। ব্রাজিলের নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আনচেলত্তিই। 

এবারের মৌসুমে সময়টা মোটেই ভালো কাটছে না রিয়াল মাদ্রিদের। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও এবারের পথটা বন্ধুরই মনে হচ্ছে। তাছাড়া জিনেদিন জিদানের রিয়ালে ফেরার গুঞ্জনও জোরালো হচ্ছে ক্রমশই। সে কারণেই কিনা নিজের ভবিষ্যৎ চাকরির ব্যাপারে খোঁজ রাখছেন এই ইতালিয়ান। ব্রাজিলের নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আনচেলত্তিই। 

ইএসপিনের ভাষ্যমতে, ব্রাজিলের কোচ হওয়ার প্রস্তাবে হ্যাঁ, বলে দিয়েছেন আনচেলত্তি। তবে তিনি সেলেসাওদের দায়িত্ব নেবেন এই মৌসুম শেষ হওয়ার পর। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের তাঁর ভালো সম্পর্কও ভূমিকা রেখেছে এই সিদ্ধান্ত নিতে।

এডার মিলিতাও, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো গোয়েসদের রীতিমত নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন এই কোচ। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্রাজিলের ইতিহাসের প্রথম বিদেশি কোচ হতে যাচ্ছেন আনচেলত্তি।

তবে যাকে নিয়ে এতকিছু, সেই কার্লো আনচেলত্তি এখনো খোলাসা করে জানাননি কিছুই। তিনি বলেন, ‘আমার অবস্থান পরিষ্কার। রিয়াল মাদ্রিদের সাথে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে আমার। অন্য কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা নেই আমার।’

ইএসপিনের মতে, রিয়ালের সাথে চুক্তি থাকার কারণেই মূলত এখনো সবকিছু পরিষ্কার করে জানাচ্ছে না দুইপক্ষ। তবে রিয়ালের সম্মতি নিয়েই ব্রাজিলের কোচ হবার ইচ্চে আনচেলত্তির। তাছাড়া তাঁর মতে, মৌসুম শেষে তাঁর বিদায় নেয়াটা দুই পক্ষের জন্যই মঙ্গল।

জিনেদিন জিদানের হুট করে ক্লাব ছাড়ার কারণেই মূলত হুট করে আনচেলত্তির মাদ্রিদের দায়িত্ব নেয়া। নিজের মন মতো খেলোয়াড় পাননি কখনোই। তা সত্ত্বেও ফিরেই রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লা লিগা জিতিয়েছেন তিনি। তাছাড়া তিনি বিদায় নিলে দীর্ঘমেয়াদে তরুণ কাউকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে মাদ্রিদ। 

শোনা যাচ্ছে ব্রাজিলের সাথে আনচেলত্তির চুক্তি হবে মূলত তিন বছরের। তাঁর অধীনেই ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছে সিবিএফ। তবে চুক্তির কিছু শর্ত নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। 

এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ বিশ্বকাপ শেষে ব্রাজিলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিতে। যদিও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় সেলেসাওরা। এরপর থেকেই মূলত নতুন কোচের সন্ধানে আছে ব্রাজিল। বিভিন্ন সময়ে পেপ গার্দিওলা, হোসে মরিনহো এবং লুইস এনরিকের কোচ হওয়ার গুঞ্জন ছিল ব্রাজিলের কোচ হওয়ার। 

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর মার্চে প্রথমবারের মত মাঠে নামবে ব্রাজিল। শুরুতে তার আগেই কোচ নিয়োগ করতে চেয়েছিল ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু আনচেলত্তিকে পাবার সম্ভাবনা জোরালো হবার পর থেকেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত তাই ঘরোয়া কাউকে দায়িত্ব দিতে চায় তাঁরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...