পাকিস্তানকে হারিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলো অজিরা। ম্যাথু ওয়েড ও মার্কাস স্টোয়িনিসের দাপটে দারুন জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটের জয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে নাম তুললো অ্যারন ফিঞ্চের দল।
ম্যাচ শেষে অজি অধিনায়ক জানালেন জয়ে উচ্ছ্বসিত হবার কথা। একই সাথে স্টোয়েনিস-ওয়েডের প্রশংসা করে ফিঞ্চ বলেন, ‘সত্যি অসাধারণ একটা ম্যাচ। ম্যাথু যেভাবে শেষ পর্যন্ত নার্ভ ধরে রেখেছি অসাধারণ। মার্কাসের সাথে ওই জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আমার মনে হয় আমরা কয়েক জায়গায় সেরাটা দিতে পারিনি আজকে। আমরা ক্যাচ মিস করেছি, যদিও খুব কঠিন ছিলো। তবে আজকে আমরা যেটা করেছি, সেটা আপনি চাবেন দলের সবাই যাতে পারে। আজকে কোনো শিশিরই ছিলো না, তবে আলোর কারণে উইকেট কিছুটা গতিময় ছিলো। আমি চাচ্ছিলাম টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে একটা ভালো স্কোর করে এরপর ডিফেন্ড করবো। তবে চেজ করে জিততে পেরেও ভালো লাগছে।’
পুরো টুর্নামেন্টেই আনবিটেন থেকে দারুণ ভাবে এগোতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু সেমিতে এসেই হোচট খেলো বাবর আজমের দল। শেষদিকে হাসান আলীর ক্যাচ মিসটা যে ম্যাচ থেকে পাকিস্তানকে ছিটকে দিয়েছে সেটাও মানছেন বাবর।
বাবর বলেন, ‘আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম, আমরা সেই স্কোরটা করতে পেরেছি যেটা টার্গেট করেছিলাম। তবে রান চেজের সময় শেষদিকে আমরা তাদেরকে খুব বেশি সুযোগ দিয়েছি। ক্যাচটা ধরতে পারলে, সেখানে একটা পার্থক্য গড়ে দিতো। আমরা পুরো টুর্নামেন্টেই যেভাবে খেলেছি, অধিনায়ক হিসেবে আমি খুব খুশি। আমি আশা করি আমরা চেষ্টা করবো ভুল শুধরে পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়ানোর। আমরা খুব ভালো খেলেছি পুরো টুর্নামেন্টেই। আমরা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি। আমরা এভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। আমরা যার প্রতি যেমন ভূমিকা চেয়েছিলাম, সবাই সেটা পালন করেছে। দর্শকরা যেভাবে আমাদের সাপোর্ট করেছে, সত্যি উপভোগ করেছি। আমি তাদের প্রতি খুব খুশি।’
হাসান আলীর কাছ থেকে জীবন পেয়ে শাহিন আফ্রিদির তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে এক ওভার বাকি থাকতেই শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে নিয়ে যান ম্যাথু ওয়েড। জানালেন দল তার উপর যে আস্থা রেখেছিলো সেটার প্রতিদান দিতে পেরে তিনি বেশ খুশি।
ওয়েড বলেন, ‘স্টোয়িনিসের সাথে কথা বলছিলাম আর বের করার চেষ্টা করছিলাম তারা কি করার চেষ্টা করছে। আমি প্রত্যাশার চেয়ে একটু বেশি গতির বল পেয়েছি। আমি এটা আরো আগে কাজে লাগাতে পারতাম, তবে ভালো লাগছে শেষ করতে পেরে। আসলে মাঠে যাওয়ার আগে খুব বেশি কথা হয়নি, কারণ দ্রুত বেশ কিছু উইকেট পড়ে। কিন্তু যখন আমি সেখান গেলাম, আমি এবং মার্কাস ধীরে ধীরে মোমন্টামটা আমাদের দিকে আনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম তবে মার্কাস আমাকে পথ দেখিয়েছে। একটা সাইডে বাউন্ডারি একটু ছোট ছিলো, আমি আআত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমি সেখান থেকে বাউন্ডারি আদায় করতে পারবো। মার্কাস বাউন্ডারি মারার পরই আমি আআত্মবিশ্বাসটা পাই। আমি শেষ দুই ওভারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি ২-৩ বছর ধরেই দলে আছি এবং তাদের বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’