ধৈর্য্য ধারণেই সাফল্য

‘আমি মনে করি ধৈর্য্য ধরে টিকে থাকাটাই ভালো করতে সাহায্য করেছে। শুরুতে বেশ কঠিনই ছিল রান করাটা। মরগ্যানের সাথে ভালো একটা জুটি গড়তে পেরেছি এবং শেষদিকে আমরা চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার। স্পিনাররা ভালো করছিলো আমরা চেষ্টা করেছি টিকে থাকতে, মনে হচ্ছিলো ১২০ ভালো স্কোর হবে। আমরা ছোট সীমানা টার্গেট করে মারার চেষ্টা করেছি। একই সাথে মরগ্যানের সাথে ব্যাটিংটা খুব উপভোগ করেছি।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ রানের অসাধারণ এক জয়ের ম্যাচে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ইংলিশ ওপেনার জশ বাটলার। ৬৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। যদিও শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে ছিলো ইংলিশরা। জেসন রয়, ডেভিড মালান, জনি বেয়ারস্টোদের দ্রুত বিদায়ে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংলিশ টপ অর্ডার। তবে বাটলার-মরগ্যানের জুটিতে পরবর্তীতে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা।

৬৭ বলে সেঞ্চুরি করলেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ৪৫ বলে! বাকি ৫০ রান করেন মাত্র ২২ বলে! বাটলার মনে করেন ধৈর্য্য ধরে উইকেটে পড়ে থাকাই সফলতার কারণ।

জশ বাটলার বলেন, ‘আমি মনে করি ধৈর্য্য ধরে টিকে থাকাটাই ভালো করতে সাহায্য করেছে। শুরুতে বেশ কঠিনই ছিল রান করাটা। মরগ্যানের সাথে ভালো একটা জুটি গড়তে পেরেছি এবং শেষদিকে আমরা চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার। স্পিনাররা ভালো করছিলো আমরা চেষ্টা করেছি টিকে থাকতে, মনে হচ্ছিলো ১২০ ভালো স্কোর হবে। আমরা ছোট সীমানা টার্গেট করে মারার চেষ্টা করেছি। একই সাথে মরগ্যানের সাথে ব্যাটিংটা খুব উপভোগ করেছি।’

আগের ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ঝড়ো ফিফটি। এরপর একই ব্যাট দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি! ব্যাট নিয়ে জানালেন এক ব্যাট দিয়েই যত বেশি ম্যাচ খেলা যায় সেই চেষ্টাই করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি একটা ব্যাট দিয়েই খেলি। যদি নেটেও কখনো কোনো ব্যাট আমার ভালো লাগে আমি সেটা দিয়েই খেলতে থাকি।’

১৯.৫ ওভারে বাটলার তখন স্ট্রাইকে অপরাজিত ৯৫ রানে! শেষ বলে সেঞ্চুরি করতে প্রয়োজন ৫ রান। চামিরার ফুলটসকে সীমানা ছাড়া করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। শেষ বলের ব্যাপার বাটলার জানান, ‘সত্যি বলতে আমি চেষ্টা করছিলাম ভাবার যে সে কোথায় বলটা করতে পারে। আমি খুব শান্ত ছিলাম। আমি মনে করি একটা লম্বা সময় ব্যাট করার পর আমি খুব ধৈর্য্য ধরেছিলাম এবং আশা করছিলাম সে (চামিরা) বলের লাইন মিস করবে।’

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দাসুন শানাকাকে রান আউট করেন বাটলার। শানাকার আউটেই ম্যাচে লঙ্কানদের আশা শেষ হয়ে যায়। চাপের মুহূর্তে শানাকার আউটকে নিজের সাফল্যর একটা অংশ হিসেবেই ধরছেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘রানআউটটা সম্ভবত আমার জন্য খুব ভালো লাগার একটা ব্যাপার ছিলো। আমরা খুব চাপে ছিলাম একটা সময়। টাইমাল মিলসের ইনজুরিতে আমরা জানতাম মঈনকে বল করতে হবে। তাই আমার মনে হয় ওই রান আউটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো এবং আমি বেশ খুশি।’

ম্যাচ শেষে বাটলারের ব্যাপারে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান বলেন, ‘এটা সত্যি অসাধারণ ব্যাপারে আরেকপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এমন মনমুগ্ধকর ইনিংস উপভোগ করা। সে নি:সন্দেহে সেরাদের একজন। তাঁর মতো একজনকে দলে পাওয়াটা সত্যি বড় ব্যাপার। অবিশ্বাস্য স্কিল আর শান্ত প্রকৃতির সমন্বয়ে সে খেলাটাকে ভালোভাবে রিড করতে পারে। সে বুঝতে পারে কখন, কোথায় কিভাবে রান বের করতে হবে। যদি সে টিকে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভুগতে হবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...