মেলবোর্নের গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেয়া একটা ছক্কা; হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদিদের হতভম্ব করে দেয়া একটা ইনিংস – রান তাড়ায় বিরাট কোহলি কতটা ভয়ঙ্কর সেটার প্রমাণ সেদিন পেয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সেই দিনের পুনরাবৃত্তি আবারো ঘটালেন তিনি। তাঁর ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে ভর করে অসম্ভব এক জয় পেলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
কোহলি ছাড়া বাকি ব্যাটারদের মধ্যে তেমন কেউই পারেননি হারপ্রীত ব্রার, কাগিসো রাবাদাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। পুরোটা সময় তিনি একা হাতে দলকে টেনে এনেছেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। জয়সূচক রান তাঁর ব্যাট থেকে না আসলেও আসল নায়ক তাই তাঁকেই বলতে হয়।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই জনি বেয়ারস্টোর উইকেট হারায় পাঞ্জাব। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শিখর ধাওয়ান আর প্রাভসিমরান দলকে নিয়ে যান ভাল অবস্থানে। মাঝের ওভারে অবশ্য পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। স্যাম কারান আর জীতেশ শর্মা ৫২ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ কাটিয়ে উঠেছেন ঠিকই কিন্তু তাঁদের রান তোলার গতি একদমই যথাযথ ছিল না।
তবে শশাঙ্ক সিং মাত্র আট বলে দুই ছয় এবং এক চারের সাহায্যে ২১ রান করেন তিনি। তাতেই ১৭৬ রান করতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব, যদিও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এই রান তাড়া করে জেতা কঠিন হওয়ার কথা নয় ব্যাঙ্গালুরুর জন্য। কিন্তু রাবাদা নিজের প্রথম ওভারেই আউট করেন ফাফ ডু প্লেসিসকে, পরের ওভারে অজি তারকা ক্যামরেন গ্রিনের উইকেট তুলে নেন তিনি।
দলের বিপদের মুহূর্তে আরো একবার জ্বলে উঠেন কিং কোহলি। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে স্বাগতিকরা। রজত পতিদারকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিতও তৈরি করেদেন তিনি। কিন্তু আস্কিং রান রেটের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে উইকেট দিয়ে বসেন এই তারকা। ৭৭ রান করে তিনি আউট হতেই ফিকে যায় জয়ের স্বপ্ন।
তবু দীনেশ কার্তিকের উপর ভরসা করেছিল সমর্থেকরা। সেই ভরসার প্রতিদান দিতে ভুল হয়নি, মাহিপাল লমররকে সঙ্গী করে অসম্ভব এক সমীকরণ সমাধান করেন তিনি। শেষপর্যন্ত তাঁর অপরাজিত ২৮ রানের ক্যামিওতে চার উইকেটের জয় পায় ডু প্লেসিসের দল।