চাইলে ম্যাচটা জিতেই ফেরা যেত

আউটফিল্ড কিছুটা ভেজা ছিল। কিন্তু ফিল্ডারদের ফিল্ডিং করতে অসুবিধা হয় নাই। মানে মাঠ ঠিকমতই প্রস্তুত করে খেলা শুরু হইছে। বৃষ্টির পর মাঠ পুরাপুরি শুকানোর পর খেলা হওয়া কী সম্ভব ছিলো? না। ছিল না।

৬.৩ ওভারে দুই রান নেবার সময় বিরাট কোহলির ডামি বা ফেইক থ্রো আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে গেছে। যদিও থার্ড আম্পায়ার ফেইক থ্রো করা কোহলির দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। ব্যাটার কমপ্লেইন করার পর টিভি আম্পায়ারের সহায়তা নিলে ফেয়ার হতো।

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসে কোহলি ইনসিস্ট করায় আম্পায়ার নো ডেকেছেন। বাংলাদেশ ইনিংসের ১৫ তম ওভারের শেষ বলে ব্যাটার সোহান জায়গা থেকে অফস্টাম্পের দিকে সরে এসে ব্যাট চালিয়েছিলেন। যে কারণে ওয়াইডের ফিফটি-ফিফটি ডিসিশানটা আম্পায়ার ভারতের পক্ষেই দিয়েছেন।

এটা তো প্রমাণিত সত্য যে বড় এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী দল ভারতকে আইসিসির টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখতে বেনিফিট অব ডাউট ডিসিশনগুলা তাদের পক্ষেই দেওয়া হয়। তারপরেও, ফেইক ফিল্ডিংয়ে ৫ পেনাল্টি রান না পাওয়া, ভেজা আউটফিল্ডই কী বাংলাদেশ দলের হারার মূল কারণ?

মিডিয়ার রিপোর্ট, পাবলিক এই দিকটাই ফোকাস করছে। আইসিসি, ইন্ডিয়াকে গালাগালি করছে। তা তারা করতে পারে। কিন্তু হারের মূল ফোকাসটা ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দেবার দিকে সরিয়ে নিলে নিজেদের ব্যর্থতাটা ধামাচাপা দেওয়া হয়। অথচ এই ম্যাচে হারার মূল কারণ নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতা।

ম্যাচটা হাতের মুঠোয় ছিল। বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হয়, ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৯ ওভারে ৮৫ করার হিসাব ছিল। শেষ পাঁচ ওভারে দরকার ছিলো ৫২ রান। অ্যাডিলেড ওভালের পিচ পুরাপুরি ব্যাটিং বান্ধব ছিল। ইভেন বাউন্সে বল চমৎকারভাবে ব্যাটে আসছিল। কেবল এক্সপ্রেস বোলাররাই ব্যাটারদের সামান্য স্ট্রাগল দিচ্ছিল।

যে ইকুয়েশন সামনে ছিল, দেখে-শুনে প্রতি ওভার শেষে বল ও রানের হিসাব করে ব্যাট চালিয়ে খেললেই সহজে ম্যাচটা জিতে বের আসা যেত। কিন্তু সাকিব, আফিফ, ইয়াসির রাব্বি, মোসাদ্দেকের কিসের এতো তাড়া ছিলো বোঝা গেল না। ওনারা প্রতি বলেই ছক্কা মারার চেষ্টা করছিলেন। যেটা করতে গিয়ে আউট হয়েছেন। তাঁদের একজনও সেন্সিবল আচরণ করলে সোহানকে নিয়ে ম্যাচটা জিতিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে পারতেন।

নিজেদের না পারার ব্যর্থতার দায় আইসিসি, ভারতের চোট্টামিরে দিতেছেন মানে সমস্যাগুলা চিহ্নিত করে সমাধান করার ইচ্ছাটা কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link