ফেব্রুয়ারি, ২০০১। ক্রেইগ ম্যাকমিলানের সেঞ্চুরি করতে ইনিংসের শেষ বলে প্রয়োজন দুই রান! পাকিস্তানি স্পিনার সাকলাইন মুশতাকের ওই ওভারে দুই ছক্কা মেরে ৯৮ রানে অপরাজিত তখন ম্যাকমিলান। ঠিক শেষ বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ম্যাকমিলান!
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে ক্রিস কেয়ার্নসের পাশে নাম লেখান ম্যাকমিলান। পাঁচ ছক্কা ও ছয় চারে ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে নিজের ৮৩ তম ম্যাচে এসে মেইডেন ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। এর আগে ক্রিস কেয়ার্নসের ৭৫ বলে করা সেঞ্চুরি ছিলো নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম!
আগ্রাসী ব্যাটিংটা অবশ্য ম্যাকমিলানের স্বভাব সুলভই ছিলো। ব্যাট হাতে তাঁর অ্যাটাকিং মাইন্ডসেট নব্বই দশকের শেষদিকে ও পরবর্তী সময়ে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে শক্ত একটা পাঞ্চ যুক্ত করে। বোলারদের উপর কাউন্টার অ্যাটাকে চড়াও হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংটাই বেশি পছন্দের ছিলো ম্যাকমিলানের। তর্কযোগ্য সাপেক্ষে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানও বলা হয় তাঁকে।
২০০১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেও জাতীয় দলে পদচারণার শুরুটা আরো বছর চারেক আগেই হয়েছিলো। বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা ম্যাকমিলানের শুরুটা হয়েছিলো অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে।
১৯৭৬ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর ক্রাইস্টচার্চে জন্ম নেওয়া ম্যাকমিলান বেড়ে ওঠার পথে স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজ রাজ্য কান্টারবুরি ও নিউজিল্যান্ডের হয়ে জাতীয় দলে খেলবেন। আর সেই যাত্রার শুরুটা হয় ১৭ বছর বয়সেই।
১৯৯৪ সালের একদম শুরুর দিকে কান্টারবুরি অনূর্দ্ধ-১৯ দলের হয়ে অভিষিক্ত হন ম্যাকমিলান। এক বছরের মাথায়ই কান্টারবুরি সিনিয়রদের দলে জায়গা করে নেন তিনি। সেখান থেকে ওটাগো’র বিপক্ষে লিস্ট এ এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক। পরবর্তীতে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে অভিষেকের দ্বিতীয় ম্যাচেই মেইডেন সেঞ্চুরি দিয়ে নজর কাঁড়লেন সবার! একই বছর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও জুড়ে দিলেন অভিষেক সেঞ্চুরি।
ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিষেক মৌসুমেই জানান দিলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের নতুন এক তারকা বেড়ে উঠছে!চোখের পলক ফেলতেই একের পর এক সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলেন ম্যাকমিলান।
জাতীয় দলের লক্ষ্যটা যখন সামনে, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের পারদটাও বেশ উঁচুতেই রেখেছিলেন তিনি। পরের দুই বছর করলেন চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স । ৮ ম্যাচে প্রায় ৭৪ গড়ে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফটিতে ৮০৯ রান করে ওই মৌসুমে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় পার করেন ম্যাকমিলান। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকেও বার্তা দিলেন তিনি আসছেন!
ওই পারফরম্যান্সের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেকের প্রায় দু’বছরের মাথায় ডাক পেয়ে যান স্বপ্নের জাতীয় দলে। মিডল অর্ডারে তখন দলের নিয়মিত মুখ নাথান অ্যাস্টল এবং ক্রিস কেয়ার্নস। তবু, আগ্রাসী ব্যাটিং প্রতিভা আর হিটিং অ্যাবিলিটি তাঁকে সুযোগ করে দেয় জাতীয় দলে।
এরপর ১৯৯৭ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রঙিন জার্সিতে ওয়ানডে অভিষিক্ত হন তিনি। অভিষেকটা ছিলো বড্ড সাদামাটা! প্রথম তিন ম্যাচে নিজের সামর্থ্যটা ঠিকঠাক দেখাতে পারেননি তিনি। তবে, চতুর্থ ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংসে খোলস ছেড়ে ব্যাট হাতে নিজের স্বরুপে বেরিয়ে আসেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেই জৌলুশটা যেনো আবারো ফিরে পেলেন।
পরের অস্ট্রেলিয়া সফরেই ব্রিসবেনে পেয়ে গেলেন ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ! তবে, সাদা পোশাকের অভিষেকটা ছিলো রঙিন আর উজ্জ্বল। অভিষেকেই অজিদের ডেরায় তুলে নেন ফিফটি! আর ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই দেখা পান ফিফটির।
পরের বছর ১৯৯৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে গড়েন মেইডেন টেস্ট সেঞ্চুরি! ম্যাকমিলানের ১৩৯ রানের সেই অনবদ্য ইনিংসে কিউইরাও সহজ জয় পায় ওই টেস্টে। ঠিক পরের সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর জাতীয় দলে নিজের জায়গাটাও পাঁকা করে ফেলেন ম্যাকমিলান।
পরের বছর ১৯৯৯ বিশ্বকাপ! বিশ্বকাপের আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই সিরিজে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে করা ৭৩ রান ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যর্থতার খোলসে থেকেও সুযোগ পেলেন বিশ্বকাপে। পুরো টুর্নামেন্টই বয়ে বেড়ান নিজের অফ ফর্ম! ওই টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে ১৭ গড়ে মোটে ১৫৩ রান করেন ম্যাকমিলান। অবশ্য ওই বছরই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় পার করেন তিনি!
বেশ বড় বড় লাফে জাতীয় দলের গেট টপকে দলে এলেও নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই ছিলেন দলের জন্য স্রেফ হতাশা!
রঙিন পোশাকে বাজে সময় পার করলেও সাদা পোশাকে ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। পরের ইংল্যান্ড সফরে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন ম্যাকমিলান। টেস্টে ভালো সময় পার করলেও ওয়ানডেতে প্রায় দেড় বছর ছিলেন অফ ফর্মে।
তবু, তাঁর প্রতি নির্বাচকদের ছিলো আস্থা আর ভরসা। সেই আস্থার দামটাও চুকিয়ে দেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০০ সালের শেষ দিক থেকে রঙিন পোশাকে আবারো ধারাবাহিক ভাবে রান করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই রেকর্ডগড়া ওয়ানডে সেঞ্চুরি! অভিষেকের প্রায় চার বছর বাদে দেখা পেয়েছিলেন রঙিন জার্সিতে কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরির!
এর এক মাসে বাদেই ওই সিরিজের তৃতীয় টেস্টে হ্যামিল্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাকমিলান করেন আরেক কীর্তি! প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অল্প রানে গুড়িয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বেশ বড় লিড পায় কিউইরা। ওই টেস্টে পাকিস্তানকে তখন পুরোপুরি ডমিনেট করছিলো ব্ল্যাক ক্যাপরা। মাঝে বল করতে আসলেন কালে ভদ্রে বল হাতে নেওয়া ইউনিস খান!
স্ট্রাইকে ছিলেন ম্যাকমিলান। ইউনুস খানের ওই ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ৫ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান তুলে রেকর্ড গড়েন ম্যাকমিলান। সেদিন টেস্টে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন তিনি! অবশ্য ২০০৪ সালে ক্যারিবিয়ান গ্রেট ব্রায়ান লারা প্রোটিয়া স্পিনার রবিন পিটারসনের এক ওভারে ২৮ রান নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেন।
পরের বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষেই দেখা পান দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির। পাকিস্তানকে পেলেই যেন হঠাৎ জ্বলে উঠতো ম্যাকমিলানের ব্যাট। কোনো চাপা রাগ, ক্ষোভ ছিলো কিনা সেটি অবশ্য জানা নেই! এরপর ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ফিফটি ছাড়া ব্যাট হাতে মোটেও ভালো সময় কাটেনি তাঁর। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কিছু সময়ের জন্য দল থেকে বাদও পড়েন তিনি।
পরবর্তীতে প্রত্যাবর্তনটাও করেন নজরকাড়া। ভারতের বিপক্ষে ফিরেই প্রথম টেস্টে ফিফটি ও দ্বিতীয় টেস্টে ১৩০ বলে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি!
ভারতের বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরির পরই টেস্টে ম্যাকমিলানের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা শুধু নিচের দিকেই নামতে থাকে! মাঝে এক ফিফটি ছাড়া নিজেকে মেলে ধরতেই পারছিলেন না তিনি। তবে, ওয়ানডেতে তখনো খেলে যাচ্ছিলেন দিব্যি। ব্যাট হাতে রানটাও পাচ্ছিলেন ঠিকঠাক। রঙিন জার্সিতে ২০০৪ সালে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটান তিনি। ব্যাট হাতে প্রায় ৪১ গড়ে সে বছর রান করেছিলেন ম্যাকমিলান।
তবে, টেস্টে অফ ফর্ম যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিলো না ম্যাকমিলানের। এরপর ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাজে পারফরম্যান্সের পর দলে জায়গা হারান তিনি। টেস্ট ফরম্যাটে আর সুযোগই পাননি নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে সে সময়ের এই বড় তারকা।
সেই ধাক্কাটা লাগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও। ফর্মহীনতাই ওই বছরের শেষেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তবে, ওই বছরই টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান তিনি! অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করেন মোটে ৯ রান! টেস্ট ও ওয়ানডেতে বাদ পড়ার পর অবশ্য ক্রিকেট ছেড়ে অন্য পেশায়ও মনযোগ দিতে চেয়েছিলেন ম্যাকমিলান। এক বছর ছিলেন দলের বাইরে।
২০০৭ বিশ্বকাপের আগে তখন দল গোছাতে ব্যস্ত সবাই। হুট করেই ২০০৬ এর ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবারো ওয়ানডেতে ব্যাক করলেন ম্যাকমিলান! ব্যাপারটা সবাইকে অবাক করলেও বোঝাই যাচ্ছিলো ম্যাকমিলান ভালো করলেই পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ। তবে, ফেরার ম্যাচে করেন মোটে ২ রান!
পরের সাত ওয়ানডেতে অজিদের বিপক্ষে এক ৮৭ বলে ৮৯ রানের ইনিংস ছাড়া বাকি ৬ ইনিংসে ব্যাট হাতে ম্যাকমিলান ছিলেন চরম ব্যর্থ। এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগ মূহুর্তে অজিদের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে পারফর্ম করা মানেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত। আর সেই ফায়দার পুরোটাই লুটে নেন ম্যাকমিলান। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি!
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েই খেললেন ৩০ বলে ৫২ রানের এক ঝড়ো ইনিংস! ৩৩৭ রানের জায়ান্ট লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে রস টেলরের সেঞ্চুরির পর ম্যাকমিলানের ১৭৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ওই ইনিংসে ৮ বল হাতে রেখে জয় পায় কিউইরা। পরের ম্যাচেই করলেন আরেক রেকর্ড!
৩৪৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে তখন ছিটকে যায় কিউইরা। ম্যাচের পুরোটাই তখন অজিদের আধিপত্যে! ধুঁকতে থাকা কিউইদের পক্ষে ৯৬ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জয়ের ভীত গড়ে দেয় ম্যাকমিলান।
১১৭ রানের ইনিংসের পথে মাত্র ৬৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাকমিলান! ২০০১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা ৭৫ বলে ব্যক্তিগত দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এটি ছিলো দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই ছিলো তাঁর তৃতীয় ও শেষ সেঞ্চুরি। শেষ দিকের নাটকীয়তায় ওই ম্যাচে ১ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের ৩-০ তে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ম্যাকমিলান পেয়ে যান বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু সেই তেজ কিংবা আগ্রাসন কোনোটি ধরে রাখতে পারেননি ওয়ার্ল্ডকাপে!
কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস ছাড়া বাকি টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি বড় কোনো ইনিংস! তবে, ওই বছর অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা পান তিনি! আর সেখানে নজরকাঁড়া পারফরম্যান্স দিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের বিদায়কে। ৫ ইনিংসে এক ফিফটিতে ৪১ গড়ে ১৬৩ রান করেন তিনি! ওই টুর্নামেন্টে ১৮১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন ম্যাকমিলান। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেরা পারফর্মার ছিলেন তিনি।
ওই বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৫ টেস্টে ৩৮ গড়ে করেছেন ৩১১৬ রান। আছে ৬ সেঞ্চুরি ও ১৯ ফিফটি। অপরদিকে, ১৯৭ ওয়ানডেতে ২৮ গড়ে করেছেন ৪৭০৭ রান। ৩ সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন ২৮ ফিফটি। এছাড়া ৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ১ ফিফটিসহ করেছেন ১৫৭ রান! পার্ট টাইম বোলার হিসেবেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শিকার করেছেন ৭৭ উইকেট।
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ১৭ হাজার রানের মালিক তিনি! ম্যাকমিলান ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগেও (আইসিএল) খেলেছেন। ২০০৯ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে কিছু সময় খেললেও পরবর্তীতে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে যোগ দেন কমেন্ট্রি প্যানেলে।
ওজন এবং ফিটনেস প্রশ্নবিদ্ধ হলেও দলে জায়গা পেতে সব সময়ই সেরা ফাইট দিয়েছেন ম্যাকমিলান। অনেকের মতেই ক্যারিয়ারে নিজের প্রতিভা কিংবা সামর্থ্যের পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে পারেননি তিনি। যা দিয়েছেন তার চেয়েও বেশি কিছু নিউজিল্যান্ডকে দিতে পারতেন বলেও মনে করেন অনেকেই।