নব বিপ্লবের প্রত্যাশা

এ বছরও দারুণ ক্রিকেট লড়াইয়ের আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। টেস্টে ইতোমধ্যেই ভালো কয়েকটি ম্যাচ দেখে ফেলেছে ক্রিকেট দুনিয়া। এছাড়া এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মত আসর গুলোও আছে। ফলের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য রোমাঞ্চের এক বছর হতে পারে ২০২২।

২০২১ সালটা ক্রিকেটের জন্য দারুণ এক সময় ছিল। বিশেষ করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সব ম্যাচ দেখা গিয়েছিলেন গতবছর। সেসব ম্যাচে ব্যাট, বল হাতে পারফর্ম করেছেন অনেকেই। তবে মোহম্মদ রিজওয়ান, জো রুটরা ব্যাট হাতে পার করেছেন দুর্দান্ত সময়। এছাড়া টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বল ঘুরিয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট।

তবে এ বছরও দারুণ ক্রিকেট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। টেস্টে ইতোমধ্যেই ভালো কয়েকটি ম্যাচ দেখে ফেলেছে ক্রিকেট দুনিয়া। এছাড়া এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মত আসর গুলোও আছে। ফলের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য রোমাঞ্চের এক বছর হতে পারে ২০২২। তবে এবছর ক্রিকেট দুনিয়া কারা রাজত্ব করতে পারে সেটিই দেখা যাবে এই তালিকায়।

  • লোকেশ রাহুল (ভারত)

রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে লোকেশ রাহুল বেশ সফল ওপেনার। তবে এবছর টেস্ট ক্রিকেটে রাহুল এক গুরুত্বপূর্ণ বছর পার করবে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তে রোহিত শর্মার ডেপুটি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে।

এছাড়া রোহিতে অনুপস্থিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও সহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন এই ওপেনার। ফলে ভারতের ক্রিকেটে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। তাই এবছরটায় অনেক দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে প্রমাণ করতে হবে এই ব্যাটসম্যানকে।

  • হারিস রউফ (পাকিস্তান)

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ফাস্ট বোলার হ্যারিস রউফ। এরপর থেকে পাকিস্তানের হয়ে এই পেসার মোট ৩৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে ২৪.৬০ গড়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ৪১ উইকেট। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিলেন পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

ওদিকে বিগ ব্যাশেও খেলেছেন এই বোলার। ফলে পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণের বড় ভরসার নাম হয়ে উঠছেন এই পেসার। শাহীন শাহ আফ্রিদির সাথে তাঁর বোলিং জুটি এনে দিতে পারে পাকিস্তানকে বড় কোন সাফল্য।

  • নিকোলাস পুরাণ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৯ সালে খেলা শুরু করেছেন ওয়ানডে ক্রিকেট। আধুনিক ক্রিকেটের বড় সম্পদ ভাবা হয় এই ব্যাটসম্যানকে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভবিষ্যৎ অধিনায়কও ভাবা হয় তাঁকে।

এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক সিরিজে অধিনায়কত্ব করে দলকে জিতিয়েছেনও। ফলে এবছরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকবে।

  • এবাদত হোসেন (বাংলাদেশ)

বছরটা এবাদত শুরুই করেছেন স্বপ্নের মত করে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউই ব্যাটারদের ধরাশায়ী করে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট।

ফলে বছরের বাকি সময়টায় টেস্টে বাংলাদেশের বড় ভরসার জায়গা এই এবাদত হোসেন। পেস বোলিং আক্রমনে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দীর্ঘদেহী এই পেসার। ফলে এবছরটা এবাদতে ক্যারিয়ারের জন্যেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

  • রোহিত শর্মা (ভারত)

বলা হয় ২০১৩ সালটা রোহিতের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। তবে এবছরটাও রোহিতের জন্য অনেক বড় কিছু হতে পারে। ভারতের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন।

ফলে ব্যাটসম্যান রোহিতের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার আছে। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটটাও নতুন করে খেলতে শুরু করেছেন। ফলে তিন ফরম্যাটেই এখন ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের বড় ভরসার জায়গা রোহিত শর্মা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...